কলকাতা: ফের বিতর্কের মুখে সিপিএমের (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (MD Selim)। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন সেলিম । সোমবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের একটি টুইট (Tweet) শোরগোল ফেলে দেয় রাজ্য-রাজনীতিতে। অভিষেককে কটাক্ষ করে সেলিম লেখেন, ‘‘অভিযোগ, তিনি (অভিষেক) তাঁর ১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন অসাধু সম্পদ লুকিয়ে রাখার করার জন্য।’’
বিতর্ক সেলিমের টুইটে ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি নিয়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে নিজের শব্দ ভাণ্ডারের দিকে নজর রাখেননি সিপিএমের ওই নেতা, এমনই মনে করছে তাঁর দলেরই একাংশ। এপ্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বোস। তিনি শুধু বলেন, ‘‘প্রস্টিটিউট (পতিতা)শব্দটা আমরা বলি না। এক্ষেত্রে আমরা বলি, সেক্স ওয়ার্কার (যৌনকর্মী।’’
আরও পড়ুন: মণিপুর নিয়ে ৩ সদস্যের মহিলা বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের
তৃণমূলের মুখপাত্র এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এদিন পাল্টা টুইট করেন। সেলিমকে নিশানা করে তিনি লেখেন, “কয়েকবছর আগের কথা। পার্টির কাজ আছে বলে এক নামী নেতা বান্ধবীর সঙ্গে একটি রাজ্যের হোটেলে চলে যান। তাঁর বিমান এবং হোটেলের কাগজ তাঁর বাড়িতে দেন পার্টিরই আরেক নেতা, আমাদেরও দেন। চূড়ান্ত অশান্তি হয়। আমরা সৌজন্যের খাতিরে তখন ছাপিনি। এবিষয়ে আপনার কিছু জানা আছে মহম্মদ সেলিম?” কুণাল ঘোষের ইঙ্গিত কোন দিকে তা টুইট দেখেও স্পষ্ট হয়নি। তবে তাঁর লক্ষ্য যে কোনও বাম নেতাই, তা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে।
বঙ্গ রাজনীতিতে কুকথা কোনও নতুন বিষয় নয়। বাম-ডান নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলেরই বহু নেতা জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে, বা অন্য কোনও জায়গায় কুকথা বলতে অভ্যস্ত। কখনও কখনও দলের ভিতরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সেই নেতারা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। আবার কিছুদিন পরে তাঁদের মুখেই ফের শোনা যায় কুকথা।