মুম্বই: এনসিপির (NCP) দুই গোষ্ঠী মুম্বইয়ে আজ, বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে। কার কাছে কত সংখ্যক বিধায়ক আছে তা প্রমাণের জন্য দলীয় বৈঠক। অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) গত সপ্তাহে বিদ্রোহ করার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এনসিপিতে উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (Nationalist Congress Party) সমস্ত বিধায়কদের জানিয়েছে মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে বেলা ১ টার সময় বৈঠকে যোগ দিতে। জীতেন্দ্র আওহাদ এই হুইপ জারি করেছেন। রবিবার তাঁকে পার্টির চিফ হুইপ নিযুক্ত করা হয়েছে। শরদ পাওয়ারের বাড়ির বাইরে ব্যানার (Banner) লাগানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ৮৩ বছরের সৈনিক একা লড়ছেন তাঁকে সমর্থন করুন। এদিকে, বান্দ্রায় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে বৈঠক হবে। তাঁদের পার্টির বেশিরভাগ বিধায়ক রয়েছে তা প্রমাণ করতে চায় তাঁরা।
গত সপ্তাহে সবাইকে চমকে দিয়ে অজিত পাওয়ার বিরোধী দলনেতার (Leader of Opposition) পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। এনসিপির আরও ৮ নেতা শপথ নেন। রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই ক্যাবিনেট বাড়ানোর (Cabinet Expansion) ঘোষণা করতে চলেছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির ৫৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে ৪৩ জন এনসিপির বিধায়ক রয়েছেন। শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর জয়ন্ত পাতিল জানিয়েছেন, কিছু বিধায়ক যারা সেদিন অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সই করেছিলেন জানতেন না কী হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Alia Bhatt | Khela Hobe | আলিয়ার মুখে খেলা হবে
লোকসভা সাংসদ অমিত কোলহে সেদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, তাঁর আনুগত্য শরদ পাওয়ারের প্রতি। শরদ পাওয়ারের দল বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নরওয়েকারের কাছে অজিত পাওয়ার ও অন্য ৮ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছেন। যাঁরা একনাথ শিন্ডে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। প্রফুল প্যাটেল, ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী এবং একসময় কট্টর শারদ পাওয়ারের অনুগত, তাঁর দলত্যাগের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন যে বিরোধীদের একটি কেন্দ্রীয় দল নেই যা ১৫০ আসন পেতে সক্ষম। যদি না আপনার একটি বড় দল না থাকে — আপনি কি এমন কোনও দল খুঁজে পাচ্ছেন যারা পরের বার ১৫০টি আসন জিতবে? অবশ্যই, রাজনীতিতে কিছুই অসম্ভব নয় কিন্তু আমি শুধু বলছি একটি যুক্তিসঙ্গত মাপকাঠি দ্বারা কোন দলই ১৫০টি আসন পাবে না৷ এবং যদি আপনার কাছে ১৫০টি আসন না থাকে, একটি কেন্দ্রীয় দল, তাহলে আপনি সেই সংখ্যার কাছাকাছি জোট গঠন করতে পারবেন না।