ইসলামাবাদ: ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার বিকেলে শীর্ষ আদালতে শুনানি হয়। এরপরই এই রায় দিল আদালত। আগেই সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ইমরানের গ্রেফতারি আইনসম্মত নয়। তাঁকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে আদালতে তাঁকে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে। যদিও এনএবি-র তরফে বলা হয়, আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। কিন্তু শীর্ষ আদালত কোনও কথা না শুনে তড়িঘড়ি আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেয়। সেই মতোই ইমরানকে নিয়ে আসা হয় আদালতে। কিন্তু, আদালত চত্বরে ততক্ষণে প্রচুর ভিড় জমে। হাজার-হাজার ইমরানের সমর্থকেরা আসেন সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাঁকে ঢোকানো হয় পিছনের গেট দিয়ে।
এরপর শুরু হয় শুনানি। ইমরান দাবি করেন, অপরাধীদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়, তার থেকেও খারাপ ব্যবহার করে পুলিশ ও রেঞ্জার্স। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামিকাল তাঁকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিচারপতি ইমরান খানকে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাল্টা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে ইমরান খান ক্ষমা চান। এরপরই কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন ‘ক্যাপ্টেন’। তিনি বলেন, ‘সকলে শান্তি বজায় রাখুন। কোনও কিছু ভাঙচুর করবেন না। শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি ২৭ বছর ধরে লড়াই করেছি।’
তবে মুক্তির নির্দেশ মিললেও আজই বাড়ি যেতে পারছেন না ইমরান। তাঁকে আজ সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে পুলিশ লাইনসের গেস্ট হাউসে রাখা হবে। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে থাকতে চাইলে তাঁরাও থাকতে পারবেন।