ইসলামাবাদ: গ্রেফতার ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাক আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে গ্রেফতার করে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের নেতা ইমরানকে। দলের আইনজীবী ফয়জল চৌধুরি তাঁর গ্রেফতারির সত্যতা স্বীকার করেছেন। পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরি টুইটে লিখেছেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট দখল করে নেয় রেঞ্জার বাহিনী এবং আইনজীবীদের উপর রীতিমতো অত্যাচার করা হয়। ইমরানের গাড়িও ঘিরে ফেলা হয় সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে। এই ঘটনার পরই গোটা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন বিস্ময়ের চমক ছড়িয়ে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন দুপুরে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা তথা পাক ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। গ্রেফতারের পরে ইসলামাবাদ পুলিশ পরে এক বিবৃতিতে জানায়, ৫০০০ কোটি পাকিস্তানি রুপিকে কালো থেকে সাদা করতে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থাকে ব্যবহার করেছিলেন ইমরান ও তাঁর স্ত্রী। পুলিশ প্রধান বলেছেন, ইসলামাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কেউ হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Pulitzer Prize 2023 | রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের খবরে পুলিৎজার জিতল নিউ ইয়র্ক টাইমস, এপি
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, ইমরানকে বারবার ডাকা সত্ত্বেও তিনি হাজিরা দেননি। জাতীয় রাজস্ব ভাঁড়ারের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে তাঁকে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো গ্রেফতার করে। ইমরান খানকে কেউ মারধর করেনি, বলেন তিনি। ইমরানের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল গত ১ মে। দুর্নীতি এবং দুর্নীতিমূলক কাজে কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে।
ইমরানের গ্রেফতারির পরপরই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। পুলিশ প্রধান আদালতে হাজিরা না দিলে তাঁর সংযমের বাঁধ ভেঙে যাবে এবং প্রধান বিচারপতি আদালতে হাজিরা দিতে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমন জারি করবেন। তিনি পুলিশকে বলেন, আদালতে এসে বলুন, কেন ইমরানকে গ্রেফতার করা হল এবং কী অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের মহাসচিব আসাদ উমর জানিয়েছেন, দলের ৬ শীর্ষ নেতাকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করবে। পাকিস্তানের সবথেকে বড় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে, পাকিস্তানে কোনও আইনের শাসন নেই।