আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে বারবার অপদস্থ হওয়ার পর এবার দেশের অন্দরেও ধাক্কা খেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। রবিবার হওয়া ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির উপনির্বাচনে ৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই জিতেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। প্রসঙ্গত, সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল তেহরিক। জেতা ৬টি আসনের মধ্যে রয়েছে পেশোয়ার এবং প্রাদেশিক বিধানসভা আসন মর্দান এবং কাহনেওয়াল রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ মুলতান আসনটিতে অবশ্য পরাজিত হয়েছেন ইমরান। নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ মাত্র একটি প্রাদেশিক বিধানসভা আসন পেয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উপনির্বাচনে মোট ১০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পাক পঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধু প্রদেশে উপনির্বাচনগুলি হয়। প্রায় ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটার ছিলেন এই কেন্দ্রগুলিতে।
আরও পড়ুন: British PM Liz Truss: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হতে পারে লিজ ট্রাসকে
প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত এপ্রিলেই অনাস্থা ভোটে সরে যেতে হয়। তারপর থেকে তিনি গোটা পাকিস্তান জুড়ে প্রচারে ঝড় তুলে দেন। দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি ছাড়াও বৈদেশিক নীতি নিয়েও প্রচারে শরিফকে তুলোধনা করেন তিনি। এদিকে, ভয়ঙ্কর বন্যা ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নাস্তানাবুদ সরকারকে প্রচারে আরও বিধ্বস্ত করে তোলেন প্রাক্তন এই অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রায় খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে অন্য দলগুলি।