দত্তপুকুর: দুদিন আগে পুলিশ আলু- পেঁয়াজের বস্তার আড়ালে বেআইনি বাজির (Fire Crackers) ব্যবসার খোঁজ পেয়েছিল। এবার সন্ধান মিলল চাল-ডাল-চিনির বস্তার আড়ালে বেআইনি বাজি কারবারের। দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে ফের বেআইনি বাজি কারবারের পর্দা ফাঁস। পুলিশের (Police) চোখে ধুলো দিতে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচার করা হত বলে জানা গিয়েছে। কোনও বস্তায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, কোনওটায় পাঞ্জাব সরকার, আবার কোনওটায় কর্নাটকের চিনিকলের ছাপ মারা। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখান থেকে ১০-১৫ ফুট দূরে পরপর দুটি গুদাম। দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ৩ দিন পরেও বারুদে ঠাসা এইসব গুদামে এখনও পুলিশের নজর পড়েনি ।
দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে বেআইনি বাজি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাজি এনে জমানো হচ্ছে বারাসতে ডিএসপি ট্রাফিকের অফিসের পাশে। বাজেয়াপ্ত হওয়া বাজি স্তূপাকারে জমতে শুরু করেছে সেখানে। সূত্রের খবর, নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ মোট ৫৮ টন বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। আমডাঙায় ৩ ট্রাক ভর্তি বেআইনি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ঘোলায় বাজেয়াপ্ত ৩ ট্রাক ভর্তি বেআইনি শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। আমডাঙা ও ঘোলা মিলিয়ে প্রায় ৫০ টন নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত বাজির বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন:বিস্ফোরণের মাথা কি বেপাত্তা আব্দুল মোহিত?
গত রবিবার, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকায়৷ বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে যায় বাড়ির ছাদ৷ আশপাশের তিন-চারটি কংক্রিটের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত ৩ শিশু ও ৩ মহিলা সহ ৮ জন৷ সোমবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনার সূত্রে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে গত রবিবারই এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি৷ পাশাপাশি, এই ঘটনা নিয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।