কলকাতা: নীলগঞ্জের বাজি কারখানায় মৃতের সঙ্গে বেড়ে দাঁড়াল ৬। বিস্ফোরণে একটি গোটা বাড়ি ধসে মাটিতে মিশে গিয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান ওই বাড়িতে জনা ১৫ লোক কাজ করছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ির শিশুও ছিল। হাসপাতালে দেখা গিয়েছে ঝলসে যাওয়া অর্ধদগ্ধ শিশুদের নিয়ে আসা হয়েছে। সরকারি ভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা জানা না গেলেও বেসরকারি মতে ৬-৭ জন মারা গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এক একটি দেহ বহু দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। এলাকার মানুষ সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। এতেই বোঝা যাচ্ছে ওখানে কোনও বেআইনি বাজি কারখানাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। এলাকায় বেআইনি বাজি কারাখানতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকী পুলিশ ও রাজ্যের মন্ত্রীও সব জানতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর চড়াও হতে বলেও উঠছে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যপাক উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: সুদের টাকা না মেটানোয় গুলি যুবককে, গ্রেফতার ১ দুষ্কৃতী
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেআইনি ওই বাজি কারখানায় শব্দবাজি তৈরি হত। মজুদ ছিল প্রচুর পরিমানে বাজির মশলা। ওখানে বোমা তৈরি হত বলেও অভিযোগ কারও কারও। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণ কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পুরোপুরি উড়ে গিয়েছে ওই কারখানাটি। এমনকী আশেপাশের বেশকয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভিতরে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।