কলকাতা: পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যজুড়ে অবাধ সন্ত্রাস। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ আইএসএফ (ISF) ও বাম(CPM) কংগ্রেস বিজেপির। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার (West Bengal State Election Commission Rajiv Sinha) পদত্যাগের দাবি জানায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে প্রথম দিন থেকেই ধুন্ধুমার চলছে রাজ্যে। ঝরেছে রক্ত, মৃত্যুও হয়েছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে গুলি-বোমা চলল ভাঙড়ে। আইএসএফের দাবি, তৃণমূলের গুলিতে তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। চোপড়ায় মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বামকর্মীর। এরপর অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচনে কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভে বাম-আইএসএফ। রাজ্যের পরিস্থিতি দেখেও নির্বাচন কমিশন দেখেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে। পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে অভিযোগ বাম-আইএসএফের। বিমান বসু বলেন, চোখে ঠুলি কানে তুলো গুঁজে বসে আছে।
রাজ্যের জেলায় জেলায় অশান্তি বোমা-গুলি পড়েছে মুড়ু-মুড়কির মতো। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ভাঙড় গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ (Violence in Bhangar)। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল ভাঙড়, পুলিশের সামনেই অবাধে সন্ত্রাস! মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে আইএসএফ কর্মীর। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আইএসএফ, বাম, কংগ্রেস, বিজেপিরকর্মী সমর্থকরা। এদিন অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে দুদলের কর্মী সমর্থকদের।কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তাদের দাবি, পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উপ্তত্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | পঞ্চায়েতে মনোনয়নকে ঘিরে ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
ভাঙড়ের প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকী বলেন, রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। ভাঙড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে দায়ী। ভাঙড়ের মানুষের নিরাপত্তার দাবি এবং নিজের নিরাপত্তার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লিখছেন নওশাদ সিদ্দিকী। রাস্তাতেই রাজ্য কমিটির বৈঠক করবে আইএসএফ। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে পুলিশমন্ত্রী পদত্যাগ করা উচিত।