কলকাতা: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সাসপেন্ড দত্তপুকুর থানারা আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সোমবার ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ছিল দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের মোচপোল গ্রাম।ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এদিন মৃতেোর সংখ্যা বেড়ে ৯ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের মদতে এবং পুলিশের নাকের ডগায় চলত বেআইনি বাজি ব্যবসা।
রবিবার সকালে দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেরামত আলির সহযোগী সফিক আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজি কারখানায় সফিকের অংশীদারিত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত সফিক আলি বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের পার্টনার বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার নগরপালকে।
আরও পড়ুন: নীলগঞ্জে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করলেন শুভেন্দু ও অধীর
সোমবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এনআইএ’র গোয়েন্দারা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। এই ঘটনার পর চারজনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজন মৃত হলেও একজন আইএসএফের ব্লক পর্যায়ের নেতা বলে দাবি পুলিশের। আইএসএফ নেতা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে সভা থেকে মমতা বলেন, সবুজ বাজি তৈরি করুন। টাকা কিছুটা রোজগার হবে, কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।