কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীতে কি একমাত্র মানুষই মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারে? তা বোধহয় নয়। কিন্তু, জীবজগতের অন্যান্য প্রাণী বিশেষত মানুষের পূর্বসূরি বনমানুষ ও বাঁদর প্রজাতির পশুর থেকে মানুষ স্বরতন্ত্রের বিবর্তনে কথা বলা রপ্ত করেছে। যা যে কোনও পশুর তুলনায় অনেক উন্নতমানের। এর রহস্য কী? সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় সেই গুপ্ত রহস্যটিই উদ্ধার করেছেন। আর তা হল, মানুষের শারীর-বৈচিত্র্যেই রয়েছে কণ্ঠস্বরের বিশেষ প্রকার বৈশিষ্ট্য। যার কারণে মানুষ বিবর্তনের এক পর্যায়ে কথা বলা রপ্ত করেছে।
‘সায়েন্স’ নামে বিশ্বখ্যাত পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই গবেষণার কথা লেখা হয়েছে। জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবস্বভাবের বিবর্তনগত উৎস সংক্রান্ত বিভাগের প্রাইম্যাটোলজিস্ট তাকেসি নিশিমুরা এই সত্য উদ্ঘাটন করেছেন। তিনি লিখেছেন, মানুষের তুলনায় বনমানুষ বা বাঁদর প্রজাতির স্বরতন্ত্রের গঠন অত্যন্ত জটিল। সে কারণে তারা স্বরতন্ত্রের কম্পন, উচ্চনীচ স্বর কিংবা বিভিন্ন ভাবের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রূপের স্বরক্ষেপণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: Tejashwi Yadav: আজ দিল্লিতে সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক তেজস্বীর
আমরা যাকে ল্যারিংস বলি, তার মেমব্রেনের গঠনের কারণেই বনমানুষ ও বাঁদর প্রজাতি মানুষের চেয়ে অনেক উচ্চগ্রামে চিৎকার করতে পারে। তারা তাদের কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। সেটার নেপথ্যেও রয়েছে তাদের ল্যারিংসের গঠনগত পার্থক্যের কারণ। জানিয়েছেন, গবেষণাপত্রে সহ-লেখক অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডব্লু টেকাম্সে ফিচ। তিনি বলেন, ল্যারিংসের জন্যই আমরা কথা বলতে পারি, গান গাইতে পারি। রাগ, ভালোবাসা, গোপন কথার আদানপ্রদানের স্বরের ওঠাপড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যা অন্যান্য প্রাণী বিশেষত মানুষের পূর্বসূরিরাও পারে না।