কলকাতা: বিন্দু মাত্র সময় নষ্ট নয়৷ বাড়ির পুজো কিংবা পাড়ার মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি সেরে যে যার মত রাস্তা নেমে পড়লেন৷ সন্ধে নামার আগেই পরপর বেশ কয়েটি বড় পুজো ঘুরে শেষ করতে হবে৷ টালা থেকে টালিগঞ্জ৷ আকর্ষণীয় পুজো মিস করা চলবে না৷ কারণ, সন্ধেয় বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই, কোনও রকমে পুষ্পাঞ্জলি-মঙ্গলারতি সারতে হয়েছে অনেককে৷
কলকাতার পাশাপাশি শহরতলিতেও একই অবস্থা৷ সকাল থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে ভিড় বেড়েছে সকাল থেকে৷ পুজোর জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও তা ভিড়ের চাপে সংখ্যায় কম পড়েছে৷ বনগাঁ-হাসনাবাদ থেকে ট্রেন বারাসত ঢুকতেই উপচে পড়েছে ভিড়৷ ট্রেনের কামরায় ঘামের গন্ধে উবে গিয়েছে সুগন্ধি৷ মাস্ক খুলে হাতে কিংবা পকেট-ব্যাগে ভরে নিয়েছে৷ মেয়েদের অবস্থা আরও খারাপ৷ কেউ কেউ বান্ধবী চিৎকার করে বলছে, ‘ভাই, দমদম নেমে লিপস্টিকটা দিস৷ সব ঘামে মুছে গিয়েছে৷ ’ এ তো গেল লোকাল ট্রেনের অবস্থা৷
আরও পড়ুন-ঘরের ছেলে নেই… মুখার্জি বাড়ির পুজোয় ‘মন কেমন’ কীর্নাহারের
দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রো দমদমে ঢুকতেই এসি চলছে কি না বোঝা দায়৷ কারণ, মেইন লাইন, কর্ড লাইন কিংবা বসিরহাট-বনগাঁ লাইনের ভিড় মেট্রোতে চাপ বাড়ায়৷ বিধাননগর প্লাট ফর্মেও সকাল থেকে ভিড় বাড়তে থাকে৷ বিধাননগরে নামা ভিড়ের অধিকাংশটাই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের জন্য এসেছে৷ বাস-অটো গুলিও যাত্রী টানতে চিল্লাচ্ছে বুর্জ খলিফা, বুর্জ খলিফা…৷ মুহূর্তেই বাস-অটো ভরে যাচ্ছে৷
আরও পড়ুন-বুর্জ খালিফার জেরে তীব্র যানজট, মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত পুলিশকর্মীর
তবে, শুধু বড় বাজেটের পুজো গুলিতেই যে ভিড় বেড়েছে এমনটা নয়৷ উত্তর কলকাতার টালা বারোয়ারি, বাগবাজার সর্বজনীন, টালা প্রত্যয়, টালা পার্কের পুজো গুলিতেও সকাল ভিড় বেড়েছে৷ একই অবস্থা দক্ষিণের পুজো মণ্ডপ গুলিতে৷ চেতলা, একডালিয়া,সুরুচি, ত্রিধারার মতো বিগ বাজেটের পুজোতেও দর্শনার্থীদের বিশাল বিশাল লাইন দেখা গিয়েছে৷
শুধু পুজো মণ্ডপে নয়৷ গড়িয়াহাট, ঢাকুরিয়ার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টেও ভিড় বেড়েছে৷ ভিড়ের চাপে দুপুরের পরে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের বাইরে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে৷