কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে ২২ কোম্পানির সেনা বাহিনী টহল দিতে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বাকি ৩১৫ কোম্পানির বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এরই মধ্যে জেলায় জেলায় সেনা মোতায়েন নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তিনি সোমবার জানান, ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শুধু কাগজে লিখে দিলেই হবে না। জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মুর্শিদাবাদ জেলায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই জেলায় থাকছে ২৬ কোম্পানি সেনা বাহিনী। বাঁকুড়া থাকছে ২৪ কোম্পানি। উত্তর ২৪ পরগনায় ২২ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৮ কোম্পান। ২০ কোম্পানি সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হবেপূর্ব বর্ধমান। হুগলিতে থাকছে ১৮ কোম্পানি। কোচবিহার ১২, দার্জিলিং-এ ৬, আলিপুরদুয়ারেও ৬ এবং উত্তর দিনাজপুর থাকবে ৩ কোম্পানি। যদিও এখন পর্যন্ত এই বাহিনী বন্টনের তালিকায় সিলমোহর পড়েনি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Central Force| কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন-কেন্দ্র পত্রযুদ্ধ
এদিনকে প্রার্থীর মত্যু ঘটনায় চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হচ্ছে না বলে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। যেই চার গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হচ্ছে না, সেগুলো হল
১. পূর্ব বর্ধমানের বড় বেলুন গ্রাম পঞ্চায়েত
২. দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম
৩. দক্ষিণ দিনাজপুরের আকচা
৪. কালিম্পংয়ের ডুংরা
প্রসঙ্গত, কমিশনের কর্তারা সোমবার সিআইএসএফ এবং বিএসএফ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কমিশন দাবি করে, কোন জেলায় কত কোম্পানি বাহিনী দেওয়া হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ কর্তারা জানান, এভাবে হ. না। কোথায় কোন বাহিনী যাবে, তা কমিশনকে পরিষ্কার করে বলতে হবে। ৩১৫ কোম্পানির মধ্যে বিএসএফ, সিআরপিএফ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। তা ধরে ধরে কমিশনকে বলতে হবে। কমিশন বলছে, এটা আমাদের জানানোর বিষয় নয়। আমরা জেলা ধরে ধরে কত কোম্পানি লাগবে, তা জানিয়েছি। তারপরেও কেন্দ্র বাহিনী দিচ্ছে না।
বিরোধীদের অভিযোগ, সবটাই কমিশনের নাটক। প্রথম থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই নাটক করে আসছে। বিরোধী নেতারা বলেন, আদালতের গুঁতো খেয়ে কমিশন প্রথমে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চাইল। তারপর ফের চাপে পড়ে ৮০০ কোম্পানির কথা জানিয়েছে। তারা জানে, এক সঙ্গে এত বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয়। বিরোধীরা এই কারণেই কয়েক দফায় ভোট চেয়েছে। দফাওয়ারি ভোট চেয়ে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আদালত সেই আবেদন গ্রহণও করেছে।