কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় বিএসএফের আইজি এবং রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মামলার আবেদনে তিনটি দাবি পেশ করেন। সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কারা আহত, কোথায় চিকিৎসা চলছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে দ্রুত হতভাগ্যের পরিবারকে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়াও নিহতদের শেষকৃত্যে রাজ্যকে সব রকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রিপোর্ট আসার পরেই ক্ষতিপূরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। যে ধরনের অভিযোগ আসছে, তাতে আদালত মনে করছে, ৬৯৩ এর বেশি বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে অধীর চৌধুরী হাইকোর্টে তিনটি দাবি পেশ করেন। প্রথমত, নির্বাচন কমিশন, রাজ্য সরকার ও পুলিসের যোগসাজসে হওয়া ভোট প্রহসনের তদন্ত কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হোক। হাইকোর্টেরই কোনও বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্ত হোক। দ্বিতীয়ত, ভোটে সংঘর্ষে আহতরা উপযুক্ত চিকিংসা পাচ্ছেন না। সরকারকে তাদের যথাযথ চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হোক প্রতিটি মৃত ও আহতের পরিবারকে। সবশেষে, প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে বলা হোক।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | তৃণমূল নেতাকে বেধারক মারধর, ঘটনায় গ্রেফতার তমলুকের বিজেপি নেতা
পাশাপাশি একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চ জানায়, ৬৯৬ আসনে পুনর্নিবাচন হচ্ছে। ৩৩৯ কেন্দ্রে আগামীকাল ভোট গণনা হবে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। বেঞ্চ জানতে চায়, সংবাদমাধ্যমে যে লোকটিকে পিস্তল হাতে দেখা গিয়েছে, তাকে কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে? রাজ্য জানায়, ধীরজ হেলা নামে ওই ব্যক্তিকে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার মোহনপুর থানা গতকালই গ্রেফতার করেছে। ১২ জুলাই পর্যন্ত তাকে পুলিস হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে ব্যারাকপুর আদালত।