কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ব়্যাগিং বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ফের পথে নামল এসএফআই সহ বাম ছাত্র সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠন। একই সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় নাগরিক সমাজের ডাকে যাদবপুরে মিছিল হয়। ওই মিছিলের জন্য ব্যপক যানজট হয়, পরে যাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে মিছিলকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেন। এদিকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগনোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসএফআই নেতারা। তাঁদের বক্তব্য সিসিটিভি লাগিয়ে কোনও লাভ হবে না। ক্যামেরা লাগালোর অর্থ হল ছাত্রীদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। বামেদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি-বাম স্বাধীন ছাত্রর সংগঠনগুলিও সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতা করেছে। বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহামঞ্জু বসু সাত দফা নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু এলাকায় রাত ৮টা থেকেসকাল ৭টা পর্যন্ত সিসিটিভির নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিন বামেদের মিছিলের জেরে ব্যস্ত সময়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল গোটা রাস্তা। ঢাকুরিয়া থেকে গড়িয়াগামী রাজা এসসি মল্লিক রোড, যাদবপুর থানা থেকে টালিগঞ্জের রাস্তা আনোয়ার শাহ রোড যাদবপুর থানা থেকে বাইপাস যাওয়ার কানেক্টর রোড। অবরুদ্ধ হয়ে যায় মিছিলের জেরে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তার মধ্যেই নাগরিক সমাজের মিছিল বের হয় তাতেও রাস্তা আটকে যায়। মিছিলকারীদের সঙ্গে নিত্যযাত্রীদের বচসা চলে। যার জেরে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। শেষে অবশ্য মিছিলকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেন। চালু হয় যান চলাচল।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ক্যান্টিন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ
অন্যদিকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় হস্টেলের আরও তিন আবাসিককে ডেকে এদিন জেরা করল পুলিশ। তাঁদের যাদবপুর থানায় তলব করা হয়েছিল। এদের মধ্যে এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ও দুই জন প্রাক্তনী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আগেই ধৃত নয় জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময় আরও তিন জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে নানা তথ্য। সে দিনের শুধু এই নয় জন নয়, আরও অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে উঠেছে দাবি। এবার তদন্তকারীদের স্ক্যানারে উঠে এল আরও কয়েকজন পড়ুয়ার নাম।