কলকাতা: কাটফাটা রোদে পুড়ছে রাজ্য। তীব্র দহন জ্বালায় জ্বলছে বাংলা। রাজ্যে আপাতত স্বস্তির কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বরং আগামী কয়েকটা দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। জানা গিয়েছে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি নেই। রাজ্যে এখনই প্রবেশ করছে না বর্ষা। রাজ্যে (Bengal) বর্ষা (Monsoon) ঢুকতে দেরি হবে৷ একই সঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের (Heatwave alert) পরিস্থিতি এবং তীব্র দাবদাহ চলবে৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে মূলত পশ্চিমী শুষ্ক বাতাসের দাপট বেড়েছে৷ ফলে ৫ থেকে ১০ জুনের মধ্যে রাজ্য জুড়েই গরম এবং শুষ্ক এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে৷ এ দিনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি অথবা তাঁর বেশি ছিল৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আগামী ৫দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহবিদেরা। সোমবার অর্থাৎ ৫ জুন থেকে আগামী শনিবার, ১০ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। হাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, আগামী ৫ দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সোমবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর। মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে। ৭ জুন অর্থাৎ বুধবার থেকে ১০ জুন অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই সমস্ত জেলার সঙ্গে হাওড়া এবং হুগলিতেও। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও অস্বস্তিকর আর্দ্র আবহাওয়া এবং গরম থাকবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই কলকাতায়। এমনকি, বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: WTC Final 2023 | ফাইনালে ভরত না ঈশান, পছন্দের কিপার প্রশ্নে পাল্টি খেলেন হরভজন
তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা কয়েক গুন বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে সতর্কও করেছে আবহাওয়া দফতর৷ বিশেষত শিশু, বয়স্ক, অসুস্থদের একটানা রোদে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে বা রোদে না থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। হালকা কাপড়ের, হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির জামা পড়তে হবে।ওআরএস বা বাড়িতে তৈরি পানীয় রোদে বের হলে সঙ্গে করে নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তেষ্টা না পেলেও প্রচুর জল খেতে হবে। হিট স্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্পের উপসর্গ যেমন দুর্বলতা, মাথাব্যথা, গা বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘাম হলে অথবা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে৷
২০২৩-এ বর্ষা একটু দেরি করবে যা আগেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷ সোমবারই মৌসম ভবন জানিয়েছে দক্ষিণ আরব সাগরে পশ্চিমী বাতাস প্রবেশ করে পরিস্থিতি অনুকূল করেছে ৷ পশ্চিম দিকে বাতাস একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে মেঘের ভরও বাড়তে শুরু করেছে ৷ জানতে পারা যাচ্ছে কেরলে আর চারদিনের মধ্যে বর্ষাকালের বৃষ্টিপাত হবে ৷ বাংলায় বর্ষার আগমন দেরিতে হওয়া জন্যই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের।