নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলের উত্তাপ এবার পৌঁছল উচ্চ আদালতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মাত্র ১৬০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। শুক্রবার সেই মামলারই প্রথম শুনানি।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই মমতার
এই বছর মে মাসের ২ তারিখ বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হয়। তাতে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও হেরে যায় নন্দীগ্রামে। এখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দাঁড়িয়েছিলেন। বিপক্ষে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবারের ভোটে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল এই নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। শুভেন্দু অধিকারী ৫০ হাজার ভোটে মমতাকে হারাবেন বলে জনসমক্ষে ঘোষণা করেছিলেন। ভোটের দিন সেখানে যথেষ্ট গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে বুথ পাহারা দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনার চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী
প্রথম থেকেই এবারের ভোটে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম কেন্দ্র। ফলাফলের দিন দেখা যায়, প্রথমে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু সময় পরে এগিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। ওই স্পর্শকাতর কেন্দ্রের রায় বেরনোও ছিল অদ্ভুত। প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল জিতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমে সেই ছবি প্রকাশিতও হয়ে যায়। তারপর হঠাৎই বলা হয় গণনা শেষ হয়নি। সার্ভার সমস্যার কারণে বাকি থেকে গিয়েছে গণনা। অনেক রাত পর্যন্ত গণনা চলে। এরপর দেখা যায়, মাত্র ১৬০০ ভোটের ব্যবধানে হার হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুনঃ যশের পর রাজ্যকে কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র: মমতা
খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে এই গোটা বিষয় নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই রায় তিনি মাথা পেতে নিলেও এর সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ রয়েছে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি পুনর্গননার আবেদন জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় কমিশন। এরপর হাইকোর্টে মামলা করেন মমতা। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলার প্রথম শুনানি হবে শুক্রবার। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, দিনের প্রথম মামলা হিসেবে এর শুনানি হবে। এই আইনি লড়াইয়ের ফল কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতির বিরুদ্ধে সরব ফিরহাদ