আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফল সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠা নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন। রাজ্য বিজেপির আইনজীবী সংগঠনের এক সভায় দিলীপ ঘোষের পাশে বিচারপতি কৌশিকের চন্দের উপস্থিতির দুটি ছবি দিয়ে শুক্রবার টুইট করেন ডেরেক। একইসঙ্গে বিচার বিভাগ আরও ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। শুনানির সময় জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী মামলার আবেদনকারী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না, তা বিচারপতি জানতে চান। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী আইনজীবী জানান যা নিয়ম আছে তা মানা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে না পারায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এ দিকে, এ দিন দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে ডেরেক ও’ব্রায়ান টুইট করে বিচারপতি কৌশিক চন্দ ও আইন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দুটি ছবিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশে কৌশিক চন্দকে গোল করে চিহ্নিত একই ব্যক্তি কি না, জানতে চেয়েছেন? দ্বিতীয় প্রশ্নে, তিনি(কৌশিক চন্দ) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কি না, প্রশ্ন করেছেন। এমনকি তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা ভোটের ফলাফল মামলার বিচারপতি কিনা সেটাও জানতে চেয়েছেন। সর্বশেষ চতুর্থ প্রশ্নে গিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন জানতে চেয়েছেন যে, বিচার ব্যবস্থা কি আরও নিচে নামছে?
উল্লেখ্য,গত ২ মে ভোট গণনার দিন টান টান উত্তেজনায় প্রথমে খবর চাউর হয়, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। তার ঠিক কিছু ক্ষণ পরেই আবার খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়, জিতেছেন শুভেন্দু। ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন নন্দীগ্রামে। পরে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তখন থেকেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফল নিয়েই মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানি আজ থাকলেও পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন বৃহস্পতিবার হবে বলে জানানো হয়েছে।