কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্যে যখন শাসক বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে, অন্যদিকে তখন ভোটের দিন বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ভোট কর্মীরা। ইতিমধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শরণাপন্ন হয়েছে। এবার কমিশনকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখল রাজ্যের প্রধান শিক্ষক সংগঠন। প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অব্যাহতি দেওয়ার হোক। এই নিয়ে কমিশনের কাছে আবেদন জানাল ওই সংগঠন।
তাদের বক্তব্য, বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তার কারণ, প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের একাধিক কাজকর্ম নিজেই দেখতে হয়। তিনি প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে ভোটের দায়িত্ব পালন করলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও পঠনপাঠনগত কাজ ব্যাহত হতে পারে। এই মুহূর্তে স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি, নতুন ক্লাস শুরু ও পাঠ্য বই বিতরণ সহ একাধিক কাজে তদারকির জন্য প্রধান শিক্ষককে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সংগঠনটি প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ১৯ ঘণ্টা পার, অধীর চৌধুরীর ধরনা অবস্থান জারি
শুধু রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই নয় তার পাশাপাশি জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক ও জেলাশাসকের কাছেও এই মর্মে চিঠি দিয়েছে ওই প্রধান শিক্ষক সংগঠন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কিংবা জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেরে পর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। মঙ্গলবার দুপুরে কমিশনের কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, কমিশন প্রতি জেলার জন্য ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে চলেছে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর যে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তাকে স্বাগত জানিয়েছে সব বিরোধী দল। তবে তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো করে বসিয়ে রাখা চলবে না। পাশাপাশি কমিশন প্রতি জেলার জন্য মাত্র ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের যে কথা ভাবছে তারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। তাদের বক্তব্য এক একটি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কোনও কাজই হবে না। এদিন কমিশনের বৈঠকে বাহিনী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রাজ্যের হাতে এখন কত বাহিনী আছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কত বাহিনী চাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে।