নয়াদিল্লি: বিজেপির মূল নিশানা যে ‘ইন্ডিয়া’ জোট নয়, রাহুল গান্ধী, তা ফের প্রমাণ হল সোমবার। এদিন লোকসভার সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর স্বমহিমায় সভাকক্ষে প্রবেশ করেন কংগ্রেস নেতা। লোকসভার সচিবালয় থেকে রাহুলকে পুনর্বহাল করার বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে কংগ্রেস শিবিরে এদিন সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজ। কংগ্রেস দফতরের সামনে আতসবাজি পোড়ান সমর্থকরা। চলে মিষ্টিমুখ। এমনকী সংসদ ভবনে ইন্ডিয়া জোটের শরিক নেতারাও মিষ্টি বিনিময় করেন। রাহুল যখন সংসদে ঢোকেন তখন যেন যুদ্ধজয়ের আনন্দে ফেটে পড়েন বিরোধী সাংসদ থেকে কংগ্রেস কর্মীরা। আর এসব দেখে গাত্রদাহ থেকে প্রথমদিনই লোকসভায় ওয়েনাড়ের সংসদ সদস্যকে নিশানা করে বিজেপি।
নিউজক্লিক নামে একটি পোর্টালে আড়াল থেকে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবর নিয়ে রাহুলকে বেঁধেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এনিয়ে সভায় তিনি অভিযোগ তোলেন, রাহুল গান্ধীর ঘৃণার দোকানে চীনা সামগ্রীও আছে। দুবের এই মন্তব্যে রুখে দাঁড়ায় কংগ্রেস। লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী স্পিকার ওম বিড়লাকে দুবের মন্তব্য বাতিল করার আর্জি জানান।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠকের জেরে দোলাচল বাজারে
রাহুল গান্ধীকে বরখাস্ত করা নিয়ে প্রথম থেকেই কংগ্রেস অভিযোগ তুলে আসছিল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ভয় পাচ্ছেন। সেকথায় সিলমোহর দিয়ে পুনর্বহাল হওয়া কংগ্রেস নেতাকে প্রথমদিনই শূলে চাপানোর চেষ্টা করেন বিজেপি এমপি। দুবের অভিযোগ, নিউজক্লিক নামে ওই পোর্টাল চীনের অর্থে চলে এবং কংগ্রেস ও কিছু স্বতন্ত্র সাংবাদিক চীনা অপপ্রচারের সঙ্গে যুক্ত। দুবে আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস বরাবরই চীনা অর্থ নেয় এবং তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। ২০০৫ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত চীন সরকার কংগ্রেসকে অর্থ জুগিয়ে গিয়েছে।
বিজেপি সাংসদের আরও অভিযোগ, চীন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ২০০৮ সালে। ডোকলাম সমস্যার সময়ও তাঁরা চীনের সঙ্গে কথা চালিয়ে গিয়েছেন। চীন সরকারের সহায়তায় তারা ভারত ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। ভারত সরকারের উচিত কংগ্রেস তহবিলে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে তদন্ত করা এবং কংগ্রেসের দোকানে ঝাঁপ ফেলে দেওয়া।