হাঁসখালিঃ মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা কাউকে বলবেন না। বললে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেব।প্রাণে মারা পরবেন। অনবরত চাপ দেওয়া হচ্ছিল।রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে (Hanskhali Rape) বাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় কী ঘটেছিল ঐদিন? কেন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে দেওয়া হল না নাবালিকাকে? আসলে কী বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত সদস্যের তরফে? হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ডে উত্তপ্ত গাজনা গ্রাম।আর এরই মাঝে মুখ খুললেন ধর্ষিতার কাকা।
তিনি জানিয়েছেন, ৪ এপ্রিল।সন্ধে বেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গোয়ারীর ছেলে ব্রজগোপাল-এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণ ছিল নাবালিকার।রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে সে। সঙ্গে ছিল আরও বেশ কয়েকজন।সবাইকে চিনি না। কিছুজনকে চেনা লাগছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিল একজন মহিলাও। সে রীতিমতো হুমকির স্বরে জানান, নাবালিকা অসুস্থ। তাঁকে সাবধানে রাখুন।যা হয়েছে সবটা গোপন রাখবেন। জানা জানি হলে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারব।
হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় মুখ খুললেন নির্যাতিতার কাকা
ওইদিন রাতেই মেয়েটির শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। শেষে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করলে বাধা দেয় ব্রজগোপালের পরিবার। তাঁকে কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাঁদের ‘নিষেধ’ করা হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের।এর পর ব্রজগোপালের পরিবারের নির্দেশে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের একটি ‘হাতুড়ে ডাক্তার’-এর কাছে। যদিও তাতে লাভ হয়নি কিছু। ঐদিন ভোর রাতে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরলে দেখা যায় নিথর দেহ। রক্তাক্ত অবস্থায় চৌকির উপর পড়ে রয়েছে নাবালিকার দেহ। মঙ্গলবার মেয়ের মৃত্যুর পর জোর করে তার দেহ স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালিকার বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়াই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দলবল নাবালিকার দাহ করান।এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় পড়েছে রাজনৈতিক স্তরে। রবিবার অভিযুক্তক ব্রজগোপাল গোয়ারীকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিস।তাঁকে জেরা করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন Hanskhali Rape: হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় আসরে নামল বিজেপি