হাঁসখালি: অবশেষে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হল হাঁসখালির নির্যাতিতার। বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পর সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান বিষ্ণু বিশ্বাস এবং আইএসএফের সদস্যদের উদ্যোগে অন্য গ্রাম থেকে পুরোহিত এনে পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন হয় বিকেলে। ধর্ষণের পর মৃত্যু হওয়া নাবালিকার ১০ দিনের মাথায় এদিনই পারলৌকিক কাজ ছিল। কিন্তু গ্রামের কোনও নাপিত বা পুরোহিত অজানা আতঙ্কে সেই কাজ করতে না চাওয়ায় অথৈ জলে পড়েছিলেন মৃতার বাবা, মা।
অবশেষে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে দুই রাজনৈতিক দল সিপিএম এবং আইএসএফ। সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান বিষ্ণু বিশ্বাস জানান, ওই গ্রামের কোনও পুরোহিত রাজি হচ্ছিলেন না শেষকৃত্য করতে। ফলে, পাশের চুনারি গ্রাম থেকে আনা হয়েছে পুরোহিত। তিনিই নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর ১০ দিন পরেও সকাল থেকে মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে পারছিলেন না তার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের চাপে তাঁদের বাড়িতে কোনও পুরোহিত আসতে চাইছিলেন না। যার ফলে মেয়ের এরকম মর্মান্তিক পরিণতির পরেও তাঁরা তার শেষ কাজটুকুও করতে পারছেন না। এখনও পর্যন্ত এতটাই প্রভাব তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালি ও তাঁর ছেলে ধৃত সোহেল গয়ালির।
আরও পড়ুন- Hanskhali Rape: হাঁসখালির নির্যাতিতা কিশোরীর শ্রাদ্ধ হল অন্য গ্রামের পুরোহিত ডেকে
হিন্দু এবং পরিবারের নিয়মমতো আজ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান তথা পারলৌকিক ক্রিয়া হওয়ার কথা ছিল। দু’দিন আগে গ্রামেরই পুরোহিতকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন মেয়ের বাবা। বৃহস্পতিবার পুরোহিতের বাড়িতে গেলে, তিনি আসতে রাজি হননি। নির্যাতিতার মায়ের অনুমান, পুরোহিতকেও লোকজন চাপ দিয়েছে বা ভয় দেখিয়েছে সমর গয়ালির দলবল। নির্যাতিতার বাবা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার জন্য সমস্ত কিছু কিনে এনেছিলেন। অবশেষে এদিন বিকেলে কিশোরীর শ্রাদ্ধশান্তি শেষ হল।