হাঁসখালি: হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তদন্তভার হাতে নিয়ে হাঁসখালিতে (Hanskhali Rape CBI) সিবিআই। বুধবার গভীর রাতে হাঁসখালি থানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করল সিবিআইয়ের ৩ সদস্যের টিম। ২ মহিলা-সহ সিবিআই-এর ৩ আধিকারিক গিয়ে সংগ্রহ করেন কেস ডায়েরি ও অন্যান্য তথ্য। কথা বলেন থানার আধিকারিকদের সঙ্গেও।
হাঁসখালিতে (Hanskhali Rape Case) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ২মে-এর মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে হবে। হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দেয়, স্থানীয় পুলিসকে আই তদন্তের সমস্ত নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। ওই ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মৃতার পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টিও পুলিসকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাঁসখালি থানায় সিবিআই আধিকারিকরা
গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালীর ছেলে সোহেল গয়ালীর বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।
সেই ঘটনা নিয়েই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। খুনের ঘটনার তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিও গঠন করেছে বিজেপি। ওই কমিটিতে রয়েছেন, লোকসভা সদস্য, উত্তরপ্রদেশের নেত্রী রেখা বর্মা, উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী, তামিলনাড়ুর বিধায়ক বনাতি শ্রীনিবাসন, মহারাষ্ট্রের নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং এ রাজ্যের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।