কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে এক মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে মিডিয়া একাংশ এবং বিজেপির মুখপাত্র। আনসারি নিজেই বিবৃতিতে লিখেছেন তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি তুলেছে বিজেপি, সেগুলি হল—
১। ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
২। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি আলোচনাসভায় তাঁর সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম।
৩। ইরানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সময় আমি জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে এমন সব কাজ করেছিলাম।
এর জবাবে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি বলেছেন, এটা সবাই জানে যে, বিদেশি অতিথিদের দেশে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষত বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শেই নিয়ে থাকেন উপ রাষ্ট্রপতি। আনসারি আরও লিখেছেন, আমি ২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনাসভার উদ্বোধন করেছিলাম। সেটি ছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও মানবাধিকারের উপর একটি আলোচনাসভা। সাধারণ রীতি অনুযায়ীই কারা অতিথি বক্তা হিসেবে থাকবেন, তা ঠিক করেন উদ্যোক্তারা। আমি কাউকে আমন্ত্রণ জানাইনি।
আরও পড়ুন: Corona Updates India: ফের দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা
ইরান প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর কাজ প্রতি মুহূর্তে ভারত সরকারের অবগত ছিল। ভারত সরকারই সেসব জানে। একমাত্র তারাই সত্য কী ঘটেছে, তা প্রকাশ করার অধিকারী। এরপর আমাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী প্রতিনিধি করে পাঠানো হয়, আমি নিউ ইয়র্কে চলে যাই। সেখানেও আমার কার্যাবলি দেশ এবং বিদেশে স্বীকৃতি লাভ করেছিল।
বুধবার বিজেপি অভিযোগ তোলে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জার বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানায়, আনসারি তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের আলাপচারিতার সময় দুজনের মধ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের তথ্য নিয়েও কথা হয়েছে। বিজেপি এই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে আনসারি ও কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহি তলব করে। তবে, এবারেই প্রথম নয়, এর আগেও আনসারিকে তাক করে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তবে তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানি যোগাযোগের অভিযোগ এই প্রথম তুলল বিজেপি। আনসারি উপ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে চলে যাওয়ার পর থেকেই মোদি সরকারের সঙ্গে তাঁর বৈরিতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা তার সাম্প্রতিক প্রমাণ।