ভোট না দিলে, তাঁর নাম অফিসের নোটিস বোর্ডে কিংবা ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। শিবঠাকুরের আপন দেশে, এমনই সর্বনেশে আইনকানুন চালু হতে চলেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর এভাবেই খড়্গহস্ত হতে চলেছে বিজেপি (BJP)।
ভোটদানে বিরত থাকাও গণতান্ত্রিক দেশে একটি অধিকার। কিন্তু, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম গুজরাতে নির্বাচন কমিশন বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে মউ (MoU) স্বাক্ষর করেছে। সেখানে বেসরকারি শিল্প-কারখানা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে এক সমঝোতা হয়েছে। যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের নাম অফিসে নোটিস বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। যদিও নির্বাচন কমিশনের যুক্তি হল, আরও বেশি মাত্রায় ভোটারদের ভোটদান কেন্দ্রে আনাই এর মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: P Chidambaram: টাকার মূল্য কমেনি মন্তব্য নিয়ে নির্মলাকে কটাক্ষ চিদম্বরমের, কী বললেন তিনি?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক খবরে জানা গিয়েছে, গুজরাতের প্রায় ১ হাজার কর্পোরেট হাউসের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এই মর্মে চুক্তি হয়েছে। যেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কর্মচারীদের উপর নজর রাখবে যে তাঁরা ভোট দিচ্ছেন কিনা। শুধু তাই নয়, যাঁরা ভোট দিলেন না, তাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে।
গুজরাতের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (CEO) পি ভারতী বলেছেন, আমরা ২৩৩টি মউ স্বাক্ষর করেছি ১০১৭টি শিল্প সংস্থার সঙ্গে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে কাজে লাগানো যাবে। এই প্রথম আমরা বেসরকারি কর্মীদের ভোটদানে অংশগ্রহণের উপর নজরদারি করতে পারব। এর আগে জুন মাসে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলিকে ৫০০-র বেশি কর্মী আছে, এমন সংস্থাগুলিকে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা বলেছিল। যারা নজর রাখবে কে কে ভোটের দিন ছুটি নিয়েও ভোট দেয়নি।
ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) রাজীব কুমার বলেন, সবথেকে কম ভোটের হার রয়েছে এমন ৭টি জেলার মধ্যে ৪টিই হল শহুরে এলাকা। শহরে ভোটদানের হার এমনিতেই কম। সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে শুধু সামাজিক মাধ্যমেই শোরগোল পাকালে হবে না। ভোটদানের মাধ্যমে তার প্রতিফলন ঘটানোটাও নাগরিক কর্তব্য। আমরা এইভাবে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা আনার চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, এই বছরের শেষেই গুজরাতে বিধানসভা ভোট রয়েছে। হিমাচল প্রদেশের ভোটের দিন ঘোষণা হলেও এখনও মোদি-শাহ জুটির রাজ্যে তা হয়নি। সেই রাজ্যে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের এমন এক সিদ্ধান্ত নজর কেড়েছে।