কলকাতা: আল কায়দা জঙ্গি ( Al Qaida Terrorists) সন্দেহে গুজরাতে (Gujarat) গ্রেফতার বাংলার তিন যুবক। ধৃত তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি কালনা থানায়। অপরজন একজনের বাড়ি পূর্বস্থলী থানায়। একজনের বাড়ি হুগলির তারকেশ্বরে। পরিবারের অভিযোগ ছেলেদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে গুজরাত সরকার। সূত্রের খবর, গত শনিবার গুজরাতের রাজকোটের সোনিবাজার এলাকা থেকে আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য চিহ্নিত করে আগ্নেয় অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।
গুজরাট এটিএস সূত্রে খবর, গত ৮ মাস ধরে বাংলার তিন যুবক রাজকোটের সোনি বাজারে থাকতেন তিন যুবক। মগজ ধোলাই করে স্থানীয় যুবদের জঙ্গি সংগঠনে টানত নাদনঘাটের ঘোলা গ্রামের আব্দুল শুকুর। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে মধ্যপ্রদেশে আল কায়দা জঙ্গি মডিউল ধরা পড়ে। মডিউলের সঙ্গে ধৃতরা যুক্ত ছিল বলে দাবি গুজরাত পুলিশের। বাংলাদেশ থেকে আবু তালহা নামক এক হ্যান্ডলারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকেই তিনজনের হদিশ মিলেছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কেনাকাটা করতে সাইবার প্রতারণার শিকার? জানুন কোন নম্বরে অভিযোগ জানাবেন
গুজরাত এটিএস তাকে গ্রেফতার করার পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। গ্রামে সে ভালো ছেলে হিসাবে পরিচিত হলেও তার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। গ্রামে কারও সঙ্গে এসে তেমন ভাবে মিশত না। প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলত না। তবে গুজরাট থেকে ঘরে এলে সে নিয়ম করে মসজিদে যেত। পরিবারের লোকজনদের নিয়ম করে মসজিদে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল। বাড়িতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করত। কাজের মধ্যেও সে সব সময় ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক তৈরি দেখত। গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, সব সময় চুপচাপ থাকা ছেলেটা আলকায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এমনটা ভাবাই যায় না।
ধৃতদের মধ্যে দুজন বর্ধমানের কালনা ও পূর্বস্থলী থানায় এবং একজন তারকেশ্বরের বাসিন্দা বলে খবর। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই এদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নাদনঘাট থানার ঘোলা এলাকায় শুকুর আলী শেখের বাড়িতে পৌঁছে দেখা গেল, বাড়িতে তার মা-বাবা দুজনই রয়েছে। মা-বাবা দুজনেই বলছেন তাদের ছেলে কোনরকম ভাবেই এই কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না। গত বছর কালী পুজোর সময় বাড়ি থেকে সে রাজকোটের উদ্দেশ্যে কাজের জন্য গিয়েছিল, তারপর আর সেখান থেকে বাড়ি ফেরেনি। তবে সেখানে যাওয়ার পর সে ধর্ম ও নামাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকত বলে জানিয়েছে তার বাবা। একই সঙ্গে বাড়ি এসে যুদ্ধের গেমও খেলতে বলে এমনটাও জানিয়েছে তিনি। তবে পরিবারের লোক থেকে শুরু করে প্রতিবেশী সকলেই দাবি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।