কলকাতা: রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে তরজা থামার কোনও লক্ষণই নেই। শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বাছা বাছা বিশেষণ প্রয়োগ করেছিলেন। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল। শনিবার তিনি মাঝরাতে পদক্ষেপ করবেন বলে শিক্ষামন্ত্রীকে হুমকি দেন। রাজ্যপাল বলেন, আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বুঝতে পারবেন পদক্ষেপ কাকে বলে। কালক্ষেপ না করে ব্রাত্য বললেন, নাগরিকরা সাবধান। শহরে নতুন রক্তচোষা! ভারতীয় পূরাণের রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষা করছি। শহরবাসী দেখুন, কী হয়।
শুক্রবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি ডেকেছিলেন ৩১ জনকে। বৈঠকে যোগদেন মাত্র ১২ জন। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন রাজভবন থেকে অনেক রেজিস্ট্রারকে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এমনকী হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ব্রাত্য বলেন, অনুপস্থিত অনেক রেজিস্ট্রার আমাকে রাজভবনের এই হুমকির কথা জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, কে হাড়হিম করা সন্ত্রাস চালাচ্ছে, কে হুমকি দিচ্ছে আপনারাই বলুন। তিনি আরও বলেন, আগে ভেবেছিলাম, রাজ্যপাল আলাউদ্দিন খিলজি। এখন দেখছি তিনি ‘মহম্মদ বিন তুঘলক’। গতকালের বৈঠকে অনুপস্থিত ১৯ জন রেজিস্ট্রারকে উচ্চশিক্ষা দফতর শোকজের নোটিসও ধরিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে কার্যত ডাহা মিথ্যেবাদী বলেও আখ্যা দেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকছে, নয়া শিক্ষানীতি চালু
শনিবার ব্রাত্য বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, আমার সিদ্ধান্তে কে খুশি হল সেই নিয়ে আমি ভাবছি না। উপাচার্য না থাকার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের অসুবিধা হচ্ছিল। কোনও শংসাপত্র ইস্যু হচ্ছিল না। এটা জানার পরই তড়িঘড়ি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়। আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা চাইলে যে কোনও বিষয় নিয়ে আমরা সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমি উপাচার্য না থাকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমি খুশি।