কলকাতা: আগামী সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনই কলকাতায় সংহতি মিছিলের নামে পথে নামছে তৃণমূল। ওইদিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্কসার্কাস পর্যন্ত মিছিল করবেন। পরে সেখানেই হবে সংহতি সমাবেশ। সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রীতির বার্তা দেবেন। সোমবার জেলায় জেলায়ও তৃণমূল একইভাবে সংহতি মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের।
বামেরাও ওইদিন সম্প্রীতি মিছিলের ডাক দিয়েছে জেলায়। তবে রামমন্দির উদ্বোধনকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে না বলেই তারা ২২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও কর্মসূচির আয়োজন করছে না। সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের অভিযোগ, রামমন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে বিজেপি এবং তৃণমূল প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিতে নেমেছে। ধর্ম আর রাজনীতিকে এই দুই দলই মিশিয়ে ফেলেছে। মমতা অবশ্য গত মঙ্গলবার নবান্নে সংহতি মিছিলের ঘোষণার দিনই বলেন, আমি কোনও প্রতিযোগিতা করছি না। রামমন্দিরের প্রতিবাদও করছি না। আমি আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করলাম।
আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারিই মমতার সংহতি যাত্রায় অনুমতি আদালতের
এদিকে সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। চিঠিতে বলা হয়েছে, সোমবার যাতে কোনও গোলমাল না হয়, সেদিকে যেন রাজ্য সরকার খেয়াল রাখে। গত বছর রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী ঘিরে কয়েকটি এলাকায় চরম অশান্তি হয়েছিল। রাজ্যপাল নিজে কয়েকটি উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন তখন। তা নিয়ে শাসকদল রাজ্যপালের সমালোচনা করে। এদিনও শাসকদলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মতো আচরণ করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সচেতন।
আইনশৃঙ্খলার অজুহাত দেখিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ২২ জানুয়ারি মমতার সংহতি মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি রাজ্যে সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও আর্জি জানান। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট শুভেন্দুর দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে। তবে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মমতার সংহতি মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। ওইদিন কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই বিভিন্ন দল এবং ধর্মীয় সংগঠনের নানা কর্মসূচি রয়েছে। সেই সব কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনও গোলমাল না হয়, রাজ্য প্রশাসনকে সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর:
