নয়াদিল্লি ও ইম্ফল: বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে মণিপুর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে বলে জানাল সরকারপক্ষ। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, হিংসা কবলিত এই রাজ্যে গত ১৮ জুলাই থেকে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি। ছোট পাহাড়ি রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসছে। শান্তি ফেরানোর জন্য দফায় দফায় সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সরকারি সূত্রটি আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মণিপুর নিয়ে খুবই চিন্তিত। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মণিপুরের পরিস্থিতি তদারকি করছেন। প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিচ্ছেন। ছোটখাট ঘটনারও গতিপ্রকৃতি তাঁকে জানাতে হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দিনে তিনবার খবরাখবর দিতে হচ্ছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, মেইতি এবং কুকিদের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে সরকারের। মণিপুর জ্বলছে বলে বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছে তাকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে সরকার মনে করে। সূত্রের দাবি, হিংসার রেখাচিত্র দিনদিন নীচের দিকে নামছে। উত্তেজনা থাকলেও শান্তি ফিরে আসছে। সরকারি দাবি, গত ১৮ জুলাইয়ের পর থেকে হিংসাত্মক ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের লাগাতর পৃথক আলোচনা চলছে। প্রতিটি জনজাতির সঙ্গে অন্ততপক্ষে ৬ দফা করে আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Rama Navami | Calcutta High Court | NIA| রামনবমী হিংসা মামলায় এনআইএ তদন্ত ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য
সরকারের আপাতত মূল লক্ষ্য হল, দুই গোষ্ঠীকে এক আলোচনার টেবিলে বসানো। সরকারের আশা মতবিরোধ থাকলেও খুব শীঘ্রই একটা সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। আলোচনার পথ ছাড়াও কেন্দ্র একইসঙ্গে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ রোধেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব প্রাপ্তি আটকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।