শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির মেয়র হিসেবে গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী গৌতম দেব। শিলিগুড়িতে ঐতিহাসিক জয়ের পরে সোমবার তাঁকেই মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন মমতা।
প্রবল মমতা ঝড়েও ২০১৫ সালে শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করেছিল বামেরা। মেয়র হন রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শিলিগুড়ি মডেল নিয়ে চর্চা শুরু হয়। মেয়র হওয়ার পর থেকেই অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রতি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন। তৃণমূল নানা ভাবে ওই বাম বোর্ডকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্মেও বাধা দেওয়া হয়। তারপরেও অশোকবাবু কাজ চালিয়ে যান।
২০২০ সালে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তার মধ্যেই হানা দেয় অতিমারি করোনা। এর ফলে ভোট করা সম্ভব হয়নি রাজ্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অন্যান্য পুরনিগমের মতো শিলিগুড়িতেও রাজ্য সরকার প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সৌজন্য দেখিয়ে অশোক ভট্টাচার্যকেই প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান করার প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু নীতিগত কারণে অশোক সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সেখানে শেষ পর্যন্ত গৌতম দেবকে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান করা হয়।
আরও পড়ুন- চারে চার, ভালবাসার দিনে মমতাকেই ভালবাসল বাংলা
তখন থেকেই শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলকেই পাখির চোখ করে ময়দানে নামে তৃণমূল। গৌতম দেব সহ শিলিগুড়ির নেতাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এবার শিলিগুড়ি পেতেই হবে। এ ব্যাপারে নেত্রী গৌতমের উপরেই আস্থা রাখেন। গৌতমও প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান হওয়ার পর থেকে শিলিগুড়ি শহরের পরিষেবার উপর বিশেষ নজর দেন, কাজকর্মে সক্রিয়ও হয়ে ওঠেন। মমতাও গত কয়েক বছরে অনেকবারই শিলিগুড়ি গিয়েছেন। একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। তৃণমূলের পরস্পর বিবদমান নেতাদের সঙ্গে নেত্রী দফায় দফায় বৈঠকও করেন।
এদিন জয়ের পর গৌতম দেব পুরো কৃতিত্ব দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, নেত্রী আমার উপরে আস্থা রেখেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার জীবনের ধ্রুবতারা। এবার শিলিগুড়ি শহরের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে।