নিউ ইয়র্ক: দ্বিতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগল (Google)। মাস খানেক আগের কথা। জেফ বেজোসের অ্যামাজন (Jeff Bezos’ Amazon) আর মার্ক জুকারবার্গের মেটাতে (Mark Zuckerberg’s Meta) দ্বিতীয় দফার কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই ট্রেন্ড (Trend) চলছে। গণছাঁটাই (Mass Layoff) এখন যেন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে আরও খারাপ পরিস্থিতি আসতে চলেছে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করা কর্মীদের জন্য। গুগল প্রথম রাউন্ডের কর্মী ছাঁটাই করেছিল, এক ধাক্কায় ১২ হাজার কর্মীর চাকরি গিয়েছিল। এবার দ্বিতীয় দফায় আরও কর্মী ছাঁটাই করা হবে। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই (Googe CEO Sundar Pichai)।
পিচাইয়ের গণছাঁটাই ইঙ্গিত?
গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট (Alphabet) সিইও সুন্দর পিচাইকে সম্প্রতি একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অ্যামাজন ও মেটা তাদের দ্বিতীয় দফার ছাঁটাই পর্ব গতমাসেই সম্পন্ন করেছে। গুগল কি সেরকম কোনও চিন্তাভাবনা করছে? তার উত্তরে তিনি বলেছেন, কোম্পানি মনে করছে কিছু কিছু জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার (Priority) দিয়ে কর্মীদের সংশ্লিষ্ট দফতরে সরানো হচ্ছে। এরপর কর্মীদের বরখাস্ত করা প্রসঙ্গের বিষয়ে তিনি সেভাবে সরাসরি উত্তর দিতে না চাইলেও, তিনি সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি।
গত জানুয়ারিতে ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাই করার কথা ঘোষণা হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই গুগল খরচ বাঁচানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে। তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। বিনামূল্যের স্ন্যাক্স (Snacks) বন্ধ করা, পাশাপাশি জিম (Gym) এবং কর্মীদের দেওয়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাতেও লাগাম টানার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Samantha Ruth Prabhu | মায়োসাইটিস কাটিয়ে উঠে এবার জ্বর,কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন সামান্থা
জনপ্রিয় এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিচাই বলেছেন, “আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে, আমরা সেদিকেই খুব বেশি করে ফোকাস করতে চাই এবং আমার মনে হয়, এখনও আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) প্রসঙ্গে পিচাইয়ের বক্তব্য, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় রয়েছে। যেখানে আমরা আরও কিছু করতে পারি, সেখানে আমরা নিশ্চিতভাবেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং সেই কাজটাই চলছে এখন।”
গুগলকে আরও ২০ শতাংশ দক্ষ করে তোলা
বর্তমানে গুগল এখন যে অবস্থায় আছে, তার থেকে ২০ শতাংশ আরও কার্যকরী করা এবং দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সুন্দর পিচাই এপ্রসঙ্গে বলছেন, “আমরা বাস্তবে যা কিছু করতে পারি, তার সমস্ত দিকে নজর রাখছি। আমরা আগেই বলেছিলাম যেমনটা জানিয়েছিলাম, এবারও ঠিক তাই। আমরা মজবুত একটা দিক তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা মজবুত সঞ্চয় (Durable Savings) করে তোলার দিকেই নজর দেবো।”