পৃথিবীতে (World) এমন অনেক রহস্যময় স্থান (Place) রয়েছে, যাদের গল্প (Story) আপনি হয়ত শুনেছেন। এর মধ্যে আমেরিকার ‘ডেথ ভ্যালি’ (Death Valley) একটা। হাজার চেষ্টা করেও বিজ্ঞানীরা এই উপত্যকার রহস্যের সমাধান করতে পারেননি এখনও পর্যন্ত। বলা হয়, এই রহস্যময় জায়গায় বিশালাকার পাথরগুলো শত শত ফুট নাকি নিজে নিজে চলে।
ডেথ ভ্যালি শুধু নামে না, বাস্তবেই মৃত্যু উপত্যকা! এখানে বছরের একটা সময় ভাল শীত পড়লেও এলাকাটি পরিচিত পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক উষ্ণ অঞ্চল হিসেবে৷ আবহাওয়া অফিসের নথি বলছে, ২০২০-র গ্রীষ্মে তাপমাত্র ছিল ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। উষ্ণতার গিনেস রেকর্ডও আছে ডেথ ভ্যালির। ১৯৩০ সালে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। যা এই পৃথিবীর রেকর্ডেড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বছরের গড় তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ৷ বৃ্ষ্টি হয় না বললেই চলে৷ সব মিলিয়ে প্রাণহীন উপত্যকা৷ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাঁচার নূন্যতম রসদও নেই৷
আরও পড়ুন: Sex as Sport | Sweden | যৌনতাকে ক্রীড়া হিসেবে তকমা দিল সুইডেন সরকার! আসল সত্যিটা কী?
১৯১৩ সালের জুলাই মাসে এই ডেথ ভ্যালিতেই তাপমাত্রা ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়েছিল৷ ১৯৩১ সালে টিউনিশিয়ার কেবিলিতে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে৷ যদিও ক্রিস্টোফার বার্ট নামে এক আবহ বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি দাবি করেছেন, অতীতে রেকর্ড হওয়া এই তাপমাত্রাগুলি মাপার পদ্ধতিতে কিছু গলদ ছিল৷
কীভাবে এই পাথরগুলি নিজেরাই নড়াচড়া করে?
এই জায়গাটি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, তার পরেও এর রহস্য উদঘাটন হয়নি। এসব কারণেই এই রহস্যময় স্থানটি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটক আসেন। এই জায়গাটি ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে নেভাডা রাজ্যের কাছে অবস্থিত। এই রহস্যময় স্থানটি ২২৫ কিলোমিটার ধরে বিস্তৃত।
প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার ভূবিজ্ঞানীরাও নেমেছিলেন চলমান পাথরের রহস্য সন্ধানে৷ যদিও তাঁরাও সঠিক কারণে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। এমনকী গ্রহ বিজ্ঞানী ব়্যালফ লরেন্সও রেসট্রাক প্লায়া নিয়ে একবার গবেষণায় নেমেছিলেন, যদিও কৃতকার্য হননি। এরপর দিনের পর দিনে ডেথ ভ্যালিতে গিয়ে পড়ে থাকতেন বিজ্ঞানী এম স্ট্যানলি। শেষ পর্যন্ত তিনিই সত্যির কাছে পৌঁছান।
এমনিতেই ডেথ ভ্যালি অঞ্চলটি কার্যত জনমানবহীন৷ যেখানে এই রেকর্ড তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছে, সেই ফার্নেস ক্রিকে হাতেগোণা কয়েকজন পেশাদারি প্রয়োজনে বসবাস করেন৷ ২০১০ সালের সেনসাস অনুযায়ী, সেখানকার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ২৪৷ ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের জনসংযোগ আধিকারিক ব্র্যান্ডি স্টুয়ার্ট-সহ সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, ডেথ ভ্যালিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কয়েকদিন অন্তর অন্তর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে৷