কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ক্ষুর দিয়ে প্রেমিকের গলার নলি কেটে খুন করল প্রেমিকা। খুনের পর ট্রলি ব্যাগে প্রেমিকের মৃতদেহ ভরে পালানোর সময় পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ওই যুবতী। পুলিস জানিয়েছে, প্রেমিকের দেহ লোপাটের মতলবে ছিল সে। কিন্তু, তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। হাড়কাঁপানো ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীটির নাম প্রীতি শর্মা। সে ফিরোজ নামে পেশায় নাপিত এক যুবকের সঙ্গে থাকত। পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুজনে বছর চারেক ধরে একসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু, বেশ কিছুদিন ধরে প্রীতি বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ফিরোজকে। তাতে ফিরোজ রাজি ছিলেন না। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। পুলিস জানিয়েছে, সেই অশান্তিতেই প্রীতি ক্ষুর দিয়ে ফিরোজের গলার নলি কেটে দেয়।
এরপর প্রীতি লাশ গায়েব করতে বুদ্ধি ফাঁদে। তখন সে বাজারে গিয়ে একটি বড় ট্রলি ব্যাগ কিনে আনে। সেই ব্যাগে ফিরোজের লাশ ঢোকায়। তার ইচ্ছে ছিল গাজিয়াবাদ স্টেশনের কোনও ট্রেনের খালি কামরায় ব্যাগটি রেখে আসার। পুলিস আরও জানিয়েছে, প্রীতির আগে একটা বিয়ে হয়েছিল। তার নাম দীপক যাদব। কিন্তু, চার বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার পর থেকেই গাজিয়াবাদের তুলসী নিকেতন এলাকায় তার ফ্ল্যাটেই ফিরোজকে নিয়ে থাকতে শুরু করে প্রীতি। চার বছর কেটে গেলেও প্রীতিকে বিয়ে করতে না চাওয়ায় ফিরোজের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো।
আরও পড়ুন: shrikant tyagi case: মহিলা হেনস্তায় ‘নিখোঁজ’ বিজেপি নেতার হদিশ দিলে ২৫ হাজার নগদ ইনাম
গত ৭ অগাস্ট ঝামেলা হাতের বাইরে চলে যায়। রাগের মাথায় আচমকাই প্রীতি একটি ক্ষুর নিয়ে ফিরোজের গলায় চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত ফিরোজকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ফ্ল্যাটেই লুকিয়ে রাখে সে। রবিবার সকালে দিল্লির সিলামপুর এলাকায় যায় ব্যাগ কিনতে। ব্যাগ কিনে ফিরে এসে ফিরোজের লাশটিকে একটি পাতলা প্ল্যাস্টিকের দড়ি দিয়ে বাঁধে এবং ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ভরে। সেদিনই দুপুর ২টো নাগাদ ব্যাগটি নিয়ে গাজিয়াবাদ স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। তার হাবভাব দেখে টহলরত পুলিসের সন্দেহ হওয়ায় তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন ব্যাগ খুলে দেখাতে বললে প্রীতির অভিসন্ধি ফাঁস হয়ে যায়।