দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে হয়েছে এক দফা বৈঠক। পরবর্তীতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের (G-20 Summit) প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠকে বসছেন। আগামী শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর বিকালে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আর ওই বৈঠকের আগে প্রস্তুতি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যসচিব বুধবার সকালে নবান্নে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব মনীষা সিনহার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন।
মুখ্যসচিব (Chief Secretary) ছাড়াও ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের পর্যটন সচিব, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব, ক্ষুদ্র শিল্প সচিব এবং হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ পদস্থ আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, আগামী বছর আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতে জি-২০ গোষ্ঠীর মোট ২১৯টি বৈঠক আয়োজনের কথা চূড়ান্ত হয়ে আছে। তার মধ্যে কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে ৯, ১০ এবং ১১ জানুয়ারি গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক বসবে।
পাশাপাশি সামনের বছরের ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতাতে বিজ্ঞান গবেষণা সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা। আবার ৩, ৪ আর ৫ এপ্রিল শিলিগুড়িতে বসবে পর্যটন বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের (Working Group) বৈঠক। এই বৈঠকের প্রস্তুতি ঘিরে পরিকল্পনা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার জামদানি বা কাঁথার মত বিখ্যাত কোনও জিনিসের প্রদর্শর্নীও করা হতে পারে কলকাতা এবং শিলিগুড়ির বৈঠকে।
আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে এবারের জি-২০ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই কারণে পূর্বাংশের প্রান্তদ্বার (Gateway of East) হিসাবে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে বাংলার অবস্থানও যথেষ্ট তাৎপর্য্যপূর্ণ।