কলকাতা: পল্লবী দে কি খুন হয়েছেন? নাকি আত্মহত্যা! এই প্রশ্নের জাল গোটাতে নেমেছেন কলকাতার শার্লক হোমসরা। রঙিন পর্দার দুনিয়ায় আত্মপ্রতিষ্ঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আগুনে এসে রোজ ঝাঁপ দিয়ে পড়ে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা তরুণী। তাঁদের কারও ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়, কারও বা থেমে যায়। তখন গ্রাস করে চরম হতাশা। এছাড়াও চকমকি এই দুনিয়ায় চার দিকে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য অজানা আকর্ষণ, তাতেও কেউ কেউ বয়সের ধর্মে হারিয়ে ফেলেন নিজেকে।
কী বলছেন মনোবিদরা?
পল্লবীর আগে বেশ কয়েকজন উঠতি-প্রতিভাবান টলি অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন। সব ক্ষেত্রেই পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে হতাশা থেকেই তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন। মনোবিদদের মতে, অল্প বয়সে মানুষ আবেগতাড়িত হয়। কোনও ঘটনা বা দুর্ঘটনা মুহূর্তে তাঁর মধ্যে প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে হিতাহিত জ্ঞান ভুলে তাঁরা হঠকারী পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন।
দ্বিতীয়ত, আমি যা হতে চেয়েছিলাম, তা হতে না পারার ব্যর্থতা অনেকক্ষেত্রে মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্ষেত্রেও অবচেতনে নিজেকে দোষী ঠাউরে শাস্তি দেওয়ার চিন্তা মনে আসে। আবার অনেকক্ষেত্রে খুব কাছের মানুষের থেকে গভীর কোনও আঘাত পেলে নিজেকে নিঃস্ব বলে মনে হয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে সাময়িক উত্তেজনা বশত মানুষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন- Telly Actress Death: মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না, খুন করা হয়েছে, দাবি পল্লবীর বাবার
এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
মনোবিদরা বলছেন সাময়িক উত্তেজনার মুহূর্তে মৃত্যুর কথা না ভেবে পজিটিভ চিন্তা করা। মনকে অন্য কোনও দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। যেমন গান শোনা, ছবি আঁকা, নিদেনপক্ষে দুঃখ বা আঘাতের বিষয়টি নিয়ে খুব কাছের বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করা। মোট কথা মুহূর্তের ওই আবেগকে অন্য কোনও ভাবে দমাতে পারলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা যায়।