কলম্বো: রাখে হরি তো মারে কে। অলৌকিক। অ্যামাজনে প্লেন ভেঙে পড়ার পর দু সপ্তাহ চার শিশুকে জীবন্ত পাওয়া গেল। ঘন গভর বৃষ্টি অরণ্যে তাঁদের পাওয়া গিয়েছে। কলম্বো এলাকার অ্যামাজনে ওই শিশুদের পাওয়া গিয়েছে। যে ঘটনাকে দেশের জন্য আনন্দ বলে ডাক দিয়েছেন কলম্বোর রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো (President Gustavo Petro)। পেট্রো টুইটারে ওই খবর শেয়ার করেছেন। মিলিটারির চিরুনি তল্লাশিতে ওই শিশুদের উদ্ধার করা গিয়েছে। কলম্বোর মিলিটারির পক্ষ থেকে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সৈনিক ও স্নিফার কুকুর নিখোঁজ শিশুদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
মে মাসের এক তারিখে ওই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় তিন জন নিহত হয়। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ওই চার শিশু হল ১৩ বছর, নয় বছর, চার বছর ও এগারো মাসের শিশু। জঙ্গলে সাউদার্ন ক্য়াকেট্টা ডিপার্টমেন্টে পাওয়া গিয়েছে। বুধবার সকালের দিকে সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তল্লাশি অভিযানের তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে। প্রথমে শিশুর জলের বোতল ও আধ খাওয়া ফল উদ্ধার হয়েছিল। সোমবার ও মঙ্গলবার সৈনিকরা পাইলট ও আরও দুজনের দেহ উদ্ধার করেছে। অ্যামাজান বৃষ্টি অরণ্যে সান জোস দেল গুয়াভায়ারে জঙ্গল এলাকার উপর দিয়ে বিমানটি উড়ে যাচ্ছিল। মৃত যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে রনক মুকুটায় (Ranoque Mucutuy)। তিনি ওই চার শিশুর মা। বড় গাছ, বন্যপ্রাণী ও প্রবল বৃষ্টি অপারেশন হোপ নামে এই অভিযানে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তিন হেলিকপ্টার সাহায্যের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই শিশুদের দিদিমায়ের রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর (recorded message from their grandmother in the Huitoto language ) হেলিকপ্টারে করে জঙ্গল এলাকায় শোনানো হয়। যাতে ওই শিশুরা তা শুনতে পেলে থেমে যানূ। তাতে তাদের জঙ্গলে না ঘুরে এক জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে। তবে কাঁচি উদ্ধার হয়েছে। গাছের ডাল জড়ানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাতেই মনে হয়েছে সেখানে প্রাণের সন্ধান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কী কারণে ওই বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা এখনও জানা যায়নি। পাইলট জানিয়েছিল ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরপেই রাডারেরর সঙ্গে বিমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। এই এলাকাটিতে খুব অলপ রাস্তা রয়েছে। তার বেশিরভাগটিই নদীপথ। যা খুব দুর্গম। তাই হেলিকপ্টারে যাতায়াত বেশি করা হয়। একটি পরিবার ছিল ওই বিমানে। তবে সেখানকার প্রেসিডেন্ট দাবি করলেও এখনও অনেকে মানতে নারাজ যে ওই শিশুদের জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে বলে। তারা উদ্ধার হওয়া শিশুদের ছবি দেখতে চায়।