পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘ প্রায় দুমাস পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University ) অস্থায়ী উপাচার্য (Vice-Chancellor) পেল। প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র (Ex Student) গৌতম চন্দ্রই এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন। রবিবার গভীর রাতে রাজ্যের উপাচার্যহীন ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেন রাজ্যপাল (Governor) তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। সেই তালিকায় ছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও। রাতেই গৌতম চন্দ্রকে ই-মেলের মাধ্যমে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র, এখানকারই বায়োলজির অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র। দায়িত্ব নিয়ে উপাচার্য জানান, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন তিনি। প্রাক্তন ছাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য হওয়ায় ক্যাম্পাসে খুশির হাওয়া।
আরও পড়ুন:শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন রাজ্যের ৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং কাণ্ড নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে রাজ্যে। এদিন বর্ধমানের নয়া উপাচার্য বলেন, আমি যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তখন র্যাগিং ছিল না। আজও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় একটা বড় প্রতিষ্ঠান। সেখানে সমস্যা থাকবেই। সবাই মিলে সেই সমস্যাগুলো মেটানোর চেষ্টা করব।
দীর্ঘ দু মাস ধরে বর্ধমান শহরের প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপাচার্য ছিল না। ফলে, প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছিল। পাশ করে যাওয়া পড়ুয়ারা উপাচার্য না থাকায় মার্কশিট হাতে পাচ্ছিলেন না। ফলে অন্য কোথাও তাঁরা ভর্তিও হতে পারছিলেন না। এছাড়া অধ্যাপকদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। অবশেষে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হওয়ায় সেসব সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক মহল। তবে, এই নিয়োগের পিছনেও বিতর্ক রয়েছে। শাসকদলের অভিযোগ, নবান্নকে কিছু না জানিয়েই রাতের অন্ধকারে আচার্য একতরফা ভাবে ১৬ জনকে অস্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগপত্র দিয়েছেন।