বেঙ্গালুরু: বিরোধীদের মহাবৈঠকে হাজির থাকতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোমবার একথা জানান কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। প্রসঙ্গত, আগামী ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। শিবকুমার বলেন, ১৭-১৮ জুলাই দেশের সব বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বৈঠকের কথা আগেই ঘোষিত। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমরা একটা বার্তা পেয়েছি যে, সোনিয়া বিরোধী জোটের বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন।
সাংবাদিকদের শিবকুমার বলেন, যাঁরা দেশে পরিবর্তন চান, এরকম সব নেতাদের আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কর্নাটক কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, আমি আদালতের নির্দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু, একথা বলতে পারি যে, রাহুল গান্ধীকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করতে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা করি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকারান্তরে নিম্ন আদালতের রায় গুজরাত হাইকোর্ট বহাল রাখায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা কেরলের ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুলের আসন্ন বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে পারাটা সংশয়ে রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অসুস্থ শরীরেও সোনিয়ার বিরোধী জোটের হাজির থাকাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাদল অধিবেশনে রাহুল গান্ধীর জন্য সংসদের দুই কক্ষেই যাতে বিরোধী দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার বিরোধী আক্রমণ শানিয়ে তোলে, সেই প্রস্তাবও রাখতে পারেন দলের নেত্রী। কিন্তু, এই প্রস্তাবে অন্য দলগুলি রাজি হবে কি না, বিশেষত দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে খড়্গহস্ত আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্মতি আদায় করা দুরূহ বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, সোনিয়া যদি সত্যিই উপস্থিত থাকেন তাহলে এই বৈঠকের গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। কারণ, সোনিয়ার সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রাহুল প্রসঙ্গে অনেকে উন্নাসিক থাকলেও সোনিয়া নিয়ে কোনও দলেরই বাছবিচার নেই। কিন্তু, সোনিয়া গান্ধী বিরোধী দলগুলির কাছে কংগ্রেসকেই চালকের আসনে রাখা এবং রাহুল গান্ধীকে জোটের মুখ হিসেবে সরাসরি প্রস্তাব দিতে চলেছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।