কলকাতা: ‘কলকাতা টিভি’র অফিসে ৮০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। এই সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অফিসের সিসিটিভি। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সাধারণ কর্মী-সংবাদ কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক সকলের মোবাইল ফোন। তন্নতন্ন করা হয়েছে অফিসের অফিসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি-কাগজপত্র। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সংবাদ কর্মী অনেকে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বাধা পান। কলকাতা টিভির অফিসের এভাবে আয়কর দফতরের তল্লাশি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি।
শনিবার ফিরহাদ বলেন, এ ভাবে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যায় না। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এ ভাবে তার কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা অন্যায়। মেয়রের কথায়, কোনও সংবাদ কারও পছন্দ হতে পারে আবার না-ও পারে। কিন্তু, তা বলে এ ভাবে চুপ করিয়ে রাখা চেষ্টা করা অন্যায় কাজ।
গত মঙ্গলবার ভোর ছ’টা নাগাদ কলকাতা টিভি’র অফিসে ঢোকেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। প্রথম দিকে অফিসের কর্মী-সাংবাদিকদের প্রায় অন্ধকারে রেখে ফোন জমা দিতে নির্দেশ দেন তাঁর। এর পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় অফিসের সিসিটিভি। এভাবে সিসিটিভি বন্ধ করে ৮০ ঘণ্টা ধরে চলে চল্লাশি। এ প্রসঙ্গে শনিবার মেয়রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যদি এভাবে সিসিটিভি বন্ধ করে রাখা হয়, তা হলে সেটা বেআইনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে এক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: Kolkata TV: কলকাতা টিভির দর্শক, শ্রোতাদের কাছে আবেদন
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোরে কলকাতা টিভি’র অফিসে আসেন আয়কর দফতরের কর্তারা। বিভিন্ন কাগজপত্র দেখার পাশাপাশি তাঁরা পিসিআর-এ বসে থাকেন। কী খবর করা হচ্ছে তার উপর নজরদারি চালাতে থাকেন। নির্দেশ দেন, ‘এই রেডের খবর করা যাবে না’। অথচ, সেই খবর সারা দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম করেছে, কেউ কেউ বেঠিক খবরও সম্প্রচার করে দেয়। কিন্তু, কলকাতা টিভি-কে এই খবর করতে দেওয়া হয়নি।