নয়াদিল্লি: দিল্লির আবগারি দুর্নীতি তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর করল সিবিআই। এই তদন্তে যখন আম আদমি পার্টির সরকার জেরবার, তখন খোদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মামলায় নয়া মোচড় দেখা দিয়েছে। আপের নেতারা প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলে চলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে বোঝাতে এটাও এক ধরনের রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
ইডির এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও অন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। ২০২১-২২ সালে বর্তমানে বাতিল হওয়া দিল্লি আবগারি নীতিতে জড়িত শহরের এক ব্যবসায়ী আমন ঢলকে আড়াল করতে এই পরিমাণ ঘুষ নেওয়া হয়েছিল বলে এফআইআরে উল্লেখ করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: দত্তপুকুর কাণ্ডে এখনই হস্তক্ষেপ করতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ইডির ওই আধিকারিক পবন ক্ষত্রী এবং কয়েকজন মিলে অভিযান চালিয়েছেন। সেখান থেকে তাঁরা ২ কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়ে বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে সেই টাকা উদ্ধার করা হয়। আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এই মামলা অগাস্ট মাসের গোড়ার দিকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তারা দুর্নীতি দমন আইনে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।
ঢল এবং ক্ষত্রী ছাড়াও ইডির আপার ডিভিশন ক্লার্ক নীতেশ কোহার, ক্লারিৎজ হোটেলস বিক্রমাদিত্যর সিইও, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী দীপক সাঙ্গোয়ান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রবীণকুমার ভাট এবং ঢলের বাবা বীরেন্দ্র পাল সিংয়ের নামও এফআইএরে রয়েছে। এর আগে ইডি ঢলকে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। এরপরেই একের পর এক যোগাযোগের মাধ্যমে দফায় দফায় ৫০ লক্ষ টাকা করে ৬ বারে ৩ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চার দফায়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছিল ইডি।
দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। এরপর এই নীতিই বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় দিল্লির সরকার। যদিও তার মধ্যেই আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া সহ বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে এই তদন্তে। এবার খোদ তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকও অভিযোগের কাঠগড়ায়।