নয়া দিল্লি: সর্ষে (Mustard) সহ বিভিন্ন তৈল (Oil) জাতীয় ফসল (Crop) লাগিয়ে কৃষকরা (Farmers) লাভের মুখ দেখছেন না। কারণ পেট্রল, ডিজেল জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চাষের খরচ প্রতি বছর বাড়ছে। অথচ ফসল বিক্রি (Sell) করে দাম পাচ্ছেন না কৃষক। ফলে চাষে উৎসাহ (Enthusiasm) হারাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে, ভারতে যে পরিমাণ খাওয়ার তেল বা ভোজ্য তেলের দরকার হয়। তার বেশিরভাগটাই আনতে হচ্ছে বিদেশ থেকে। যার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দেশের কোষাগার থেকে ব্যয় হচ্ছে। বুধবার এরকমই একটি তথ্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা (Criticize) শুরু হয়েছে।(Edible oil imports grew from $ 9.7 billion in 2019-20 to $ 8.9 billion in 2021-22)
তাতে দেখা গিয়েছে, গত তিন বছরে ভোজ্য (Edible Oil) তেল কেনার জন্য দ্বিগুণ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। যার ফলে বছরে লক্ষ কোটির বেশি টাকা দেশ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীর প্রশ্ন তুলছে, এই টাকা দেশের কৃষকদের জন্য কেন ব্যয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে কোষাগার থেকে টাকা বাইরে বেরত না। উপরন্তু, কৃষকদের মুখে হাসি ফুটত। যেখানে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী।
আরও পড়ুন: Cold Storage: হিমঘরে সংরক্ষিত আলু বাজারজাত করার সময়সীমা বাড়াল রাজ্য
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) একটি নির্ভরযোগ্য (Dipendable) সূত্র (Source) থেকে এদিন জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশে (India) ভোজ্য তেল আমদানি (Import) করা হয়েছিল ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ২২ হাজার ১০৭ টন। যার বাজার মূল্য দিতে হয়েছে ভারতকে ৯ হাজার ৬৭২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় (Indian Currency) যা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তা কেনার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৭ টন। যার বাজার মূল্য ৯০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২১-২২ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৫৬ টন। যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭২৬ কোটি টাকার বেশি।
অর্থনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল পশ্চিমবঙ্গের (Westbengal) এক কৃষক জানিয়েছেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করলেই বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার (Foreign Currency) কমত না। একইভাবে লক্ষ লক্ষ চাষীর এতে উপকৃত হতেন। দরকার, কেন্দ্রীয় সরকার দৃষ্টিভঙ্গী ঘোরানো।