নয়াদিল্লি: ক্যানসার (Cancer), হার্টের রোগ (Heart Disease) এবং অটোইমিউন অসুখ (Autoimmune Disease)। এই তিনটিই প্রাণঘাতী রোগ (Deadly Diseases), যার কোনও প্রতিকার (Remedy) নেই। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রতিকার আসতে পারে। ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট মডার্না (Pharmaceutical Giant Moderna) জানিয়েছে, তারা প্রাণঘাতী রোগ, অসুখ-বিসুখের ভ্যাকসিন (Vaccine) তৈরির জন্য কাজ করছে। তাদের দাবি, ২০৩০ মধ্যে তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, অদূর ভবিষ্যতে এই ভ্যাকসিন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচাবে। প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ রোগী ক্যানসার, হৃদরোগ এবং অটোইমিউন রোগে মারা যান। ক্যানসার ও হৃদরোগ সম্পর্কে অনেকেই জানেন। যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য বলে রাখা, অটোইউমিন রোগ হলো, এমন অবস্থা যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবসার সুস্থ অঙ্গকেই আক্রমণ করে বসে রোগ-জীবাণু ভেবে।
আরও পড়ুন: Celebrating Arts Day। নববর্ষের দিনে বিশ্ব শিল্পকলা দিবস পালন
মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পল বার্টন (Paul Burton, Chief Medical Officer of Moderna) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে দ্য গার্ডিয়ানকে (The Guardian) জানিয়েছেন, সংস্থা বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করছে। এরজন্য পাঁচ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মডার্না। ওষুধ তৈরির দিক থেকে বিশ্বের অগ্রণী সংস্থা হিসেবে সুনাম রয়েছে মডার্নার। সেই সংস্থায় অন্যতম শীর্ষ চিকিৎসক বার্টন। তিনি বলছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে গত কয়েক মাসে আমরা যেটা শিখেছি, তা হলো, আপনি যদি কখনও ভেবে থাকেন এমআরএনএ (mRNA) শুধুমাত্র কোভিডের (Covid) মতো সংক্রামক রোগের জন্য দায়ী, তাহলে বলবো, প্রমাণ মিলেছে, তা পুরোপুরি ঠিক নয়।” তাঁর আরও বক্তব্য, “সব ধরনের রোগের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। যেমন – ক্যানসার (Cancer), সংক্রামক রোগ (Infectious Disease), কার্ডিওভাস্কুলার রোগ (Cardiovascular Disease), অটোইমিউন রোগ (Autoimmune Diseases), বিরল রোগ (Rare Disease)।”
ভ্যাকসিনের স্বর্ণযুগ
২০২০ সালে করোনা প্যানডেমিক (Covid Pandemic) ছডিয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বহু মানুষ মারা গিয়েছেন করোনায়। তবে এই করোয়া প্যানডেমিক যুগ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক পর্ব হিসেবে থেকে যাবে চিরকাল। পল বার্টন জানিয়েছেন, মেসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ (messenger RNA or mRNA)-এর বিকাশ নতুন ইঞ্জেকশন (Development of New Injections) তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগতভাবে সুযোগ-সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এই কারণে এই করোনা পর্বকে ভ্যাকসিন তৈরির স্বর্ণযুগ (Golden Age) হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন তিনি। মেসেঞ্জার আরএনএ-র মধ্যে বিরল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা রয়েছে। তাই লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, আগামী এক দশকের মধ্যে এমআরএনএ-বেসড থেরাপি (mRNA-based Therapies) উদ্ভাবন করার।