কলকাতা: তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যাদবপুর-কাণ্ডের ১৩ দিন পর নীরবতা ভাঙলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে ‘আলু’। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অরিত্র মজুমদারের (Aritra Majumdar)। এবার আলুর খোঁজ মিলল । মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিন ১০ তারিখে কাশ্মীরে ছিল সে। মিডিয়া এবং বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন তার নামে মিথ্যা প্রচার করছে। যে কোনও রকম তদন্তের সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। সে কলকাতায় ফিরছে বলে জানিয়েছে।
অরিত্র জানিয়েছেন, সে কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে (Trekking Kashmir) গিয়েছিলেন। প্রাক্তন ওই ছাত্রনেতার দাবি, চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তাঁর। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করেছেন। তাঁর আরও দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনও ভাবে যুক্ত নন। ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছেন। তদন্ত করলে প্রমাণ হবে সেই রাতে হস্টেলে সে যায়নি। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ১০ তারিখ বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হস্টেলের প্রাক্তনী এবং বর্তমান আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অরিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক। ঘটনার ১৩ দিন পর নিজেই মুখ খুললেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের পর বিশ্বভারতী, সহপাঠীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ৩ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে
সূত্রের খবর, অরিত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিসিয়ালি কোনও ছুটি নেয়নি। এমনকি তার যে পিএইচডি গাইড রয়েছে তাকেও কিছু জানায়নি বলে তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছে। তবে কি এটা হস্টেলে ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর অরিত্র সাজানো পরিকল্পনা? সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এসএফআই ছাত্রনেতা জানিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে পুলিশের হাতে যারা গ্রেফতার হয়ে আছে তার প্রত্যেকেই প্রথমে বলেছিল যে তারা ঘটনার সময় ছিল না । এমনকি গ্রেফতার হওয়ার পরেও তারা একই কথা বলে যাচ্ছে। পুলিশের সূত্রের খবর, ধৃতরা বারবার বয়ান বদল করছে। ফলত অরিত্রের দাবি, কতটা যুক্তিযুক্ত সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। গবেষক হয়েও দীর্ঘদিন কি করে এটি ছাত্র সংসদের মাথা হয়ে কাজ করত অরিত্র, প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই।