নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার রাজ্যের সাতটি আসনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে ছয়টি তৃণমূলের, একটি কংগ্রেসের। ওই আসনগুলিতে ভোট হবে ২৪ জুলাই। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৬ জুলাই। মনোনয়ন পেশের শেষ দিন ১৩ জুলাই। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ জুলাই।
এবার আসন খালি হচ্ছে তৃণমূলের দোলা সেন, সুখেন্দু শেখর রায়, লুইজিনহো ফেলেরিও, শান্তা ছেত্রী, ডেরেক ও ব্রায়েন, সুস্মিতা দেবের। এছাড়া কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের কার্যকালের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়ার কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেরিও দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে কেন্দ্র করে তৃণমূল গোয়ায় সংগঠন শক্তিশালী করার কথা ভেবেছিল। ফেলেরিও-সহ গোয়ার আরও কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়েন। তৃণমূল ফেলেরিওকে রাজ্যসভার সাংসদ করে। তাঁকে সামনে রেখেই তৃণমূল গোয়ায় বিধানসভা ভোটে লড়াই করে। তাঁকে প্রার্থী করার কথা ভেবেছিল তৃণমূল। কিন্তু ফেলেরিও রাজি হননি। ভোটের পরই তিনি তৃণমূল ছাড়েন। সাংসদ পদেও ইস্তফা দেন। গোয়ার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয় ঘটে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রী, পা ও কোমরে চোট মমতার
বিধানসভা ভোটের প্রচারে গোয়ায় গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই গোয়ায় তৃণমূল বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের হয়ে একাধিকবার ভোটের প্রচারে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন প্রমুখ। তাঁরা বুক বাজিয়ে দাবি করেছিলেন, গোয়ায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়েছে।
যে আসনগুলি খালি হল, সেগুলিতে কারা প্রার্থী হবেন, সেটাই এখন দেখার। তবে সবটাই নির্ভর করছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। ছয়জনকেই ফের প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়েও নানা চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।