কলকাতা: সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (RajiV Sinha) নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( CV Ananda Bose)। রবিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনারকে (Election Commissioner) রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ, কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ইত্যাদি নিয়েও রাজ্যপাল কথা বলেছেন রাজীবের সঙ্গে। এক সঙ্গে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী পেলে তাদের কীভাবে ব্যবহার করা হবে, রাজ্যপাল তাও জানতে চান। তিনি কমিশনারকে বলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এত হিংসার অভিযোগ আসছে কেন। আমি নিজে কিছু জায়গায় গিয়ে স্থানীয়দের আতঙ্কিত দেখেছি। আপনাকে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। শাসক, বিরোধী যে রাজনৈতিক দলই অভিযোগ করুক না কেন, সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যপাল রাজীবকে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আর যাতে কোনও হিংসা, অশান্তি না হয়, তা দেখতে হবে।
রবিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনারকে ডাকিনি। রাজীব সিনহা নিজেই সময় চেয়েছিলেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। কমিশনার যখন সময় পাবেন, তখনই তিনি আসতে পারেন। তিনি যে ব্যস্ত রয়েছেন সেকথা আমি জানি। রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের পর বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল। রবিবার বিকেলে সেই বিবাদের অবসান হল হল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রথমবারের তলবে হাজিরা এড়ানোয় নির্বাচন কমিশনারের প্রতি ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন:Karnataka | আবাসনেই গাঁজার চাষ, ব্যবসা, ধৃত ৫ হবু ডাক্তার
গত বুধবারই রাজীবের জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠানোর দাবি করা হয়েছিল রাজভবন থেকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল নবান্ন। পটনা যাওয়ার আগে রাজীবের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোনও উপর থেকে চাপ নয়। রাজীবের নিয়োগ হয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে। এমনকী, রাজীবকে তাঁর পদ থেকে সরাতে হলে এখন ইমপিচমেন্ট ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা নেই বলেও দাবি করেছিলেন মমতা। এদিকে, রাজভবনে যাওয়ার আগে রাজ্যের জন্য বকেয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ফের চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। শনিবারই অফিস ছাড়ার আগে অ্যাকশনের কথা বলেছিলেন। সেই অ্যাকশনের ফল হল রবিবার আরও একটি চিঠি গেল কলকাতা থেকে দিল্লিতে।