কলকাতা: ক্ষোভে ফুঁসছে ভাঙড় (Bhangar)। রাতভর সংঘর্ষে আইএসএফ কর্মী-সহ তিনজন নিহত হয়েছে। আইএসএফের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষী গুরুতর জখম হন। ভাঙড় নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha) জানান, ভাঙড় নিয়ে অভিযোগ আসছে কমিশনের দফতরে। কন্ট্রোল রুমেও আসছে ফোন। অপ্রীতিকর অবস্থা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন।
রাজীব সিনহা আরও জানান, যেখান থেকে অভিযোগ আসছে, সেই সব জায়গায় পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা দফতরের ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সব খবর তো আমাদের কাছে আসছে না, সব খবর পাচ্ছি না। যেখান থেকে যেখান থেকে অভিযোগ আসছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা দেখছি।
মঙ্গলবার গভার রাতে আইএসএফ-পুলিশ তুমুল সংঘর্ষ গণনাকেন্দ্রের বাইরে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। ভাঙড়ের কাঁঠালবেড়িয়ায় তুমুল বোমাবাজি চলছে। রাত আড়াইটার খবর, গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। গণনাকেন্দ্রের সামনে চলছে বোমাবাজি। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে আইএসএফ সমর্থকরা চলে আসছে কাঁঠালবেড়িয়ার সংঘর্ষে পুলিশের এক পদস্থ কর্তার গুলি লেগেছে। এক পুলিশকর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার দুজনেরই অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | জেলা পরিষদে তৃণমূল জয়ী ৬০৮ আসনে, এগিয়ে ১৮০টিতে
মঙ্গলবার রাতে গুলি বোমার লড়াইয়ের মধ্যে সারা রাত গণনাকেন্দ্রের একটি ঘরের মধ্যেই আটকে ছিলেন এক ভোটকর্মী এবং পুলিশকর্মীরা। এরই মধ্যে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন একদল সাংবাদিক। অভিযোগ একটি ঘরে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী এসে তাঁদের উদ্ধার করে। সকাল সকাল ঘটনাস্থলে যান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুরু হয় ধরপাকড়। আপাতত থমথমে পুরো এলাকা। কাঁঠালিয়া হাই স্কুল চত্বর থেকে ভাঙড়ের কাশীপুর রোড জুড়ে যে দিকে চোখ যাচ্ছে সেই দিকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইটের টুকরো, বোমার সুতলি ইত্যাদি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বম্ব স্কোয়াড। কাঁঠালিয়ার যে জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছিল, সেখানেই ব্যাগের ভর্তি মিলেছে একাধিক তাজা বোমা। সেগুলি একে একে ব্যাগ থেকে বের করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।