কলকাতা: নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নির্ধারিত প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারি করার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্ব ঘিরে প্রথম দিন থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ। শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সব জেলশাসক, কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেখানে স্পষ্টত বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তার একটি সামগ্রিক রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়ন পর্বে রক্ত ঝরল রাজ্যে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রোষে প্রাণ হারিয়েছেন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মী। বেশ কিছু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে বিরোধীরা। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনেও ছড়াল উত্তেজনা। এবার ‘গুলিবিদ্ধ’ তৃণমূল কর্মীর ভাই। শনিবার রাতে কোচবিহারের ওকরাবাড়িতে গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও এনেছেন তাঁরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ঘিরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) তলবে পেয়েই শনিবার তড়িঘড়ি রাজভবনে যান নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (State Election Commissioner Rajiv Sinha)। ভোটে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
ভোটের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ-প্রশাসনকে বেশ কয়েকটি আগাম পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় প্রয়োজনীয় রুট মার্চ করতে হবে। আগামী ২৪ জুন বিকেল ৫টা থেকে জেলার সমস্ত অসম্পূর্ণ বাড়ি, কমিউনিটি হল, বিয়েবাড়ি, লজ, গেস্ট হাউস, হোটেল, স্টেডিয়াম ইত্যাদি জায়গার প্রতিদিন চেকিং বাধ্যতামূলক। এলাকায় নির্ধারিত সময়ের পর যাতে বহিরাগত কেউ না ঢুকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অস্ত্র মজুত করার সম্ভাবনা এড়াতে নজরদারি করা হবে। সব সীমানা সিল করা হবে এবং যানবাহন যাওয়া-আসার উপর কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। এলাকায় কোনও নতুন ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তি ঢুকলে তাদের পরিচয় যাচাই করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তার একটি সামগ্রিক রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করতে হবে। এছাড়া এই বিষয়ে প্রতিদিনের রিপোর্ট সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জমা দিতে হবে।