কলকাতা: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি (Appointment Scam) মামলায় কড়া অবস্থান নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির দাবি, অবিলম্বে ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ (WBBSE)। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এজলাসে হাজিরার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা ১৮৩ জনের পাশাপাশি আরও ৯ জন শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট (OMR Sheet)। ওই নয় জনকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে। উপস্থিত থাকবেন নয় জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান (Chairman) ও কমিশনের আইনজীবী। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই নয় জনের বক্তব্য শুনতে হবে কমিশনকে।
এদিন নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয় কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।” ১৮৩ জনের বাইরেও ৯জনকে ভুল করে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। বাংলা, ইতিহাস আর জীবন বিজ্ঞান বিষয়ে। এদের সবাইকে ব়্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তালিকায় নিচের দিকে নাম থাকার সত্তেও তারা চাকরি পেয়েছিলেন। পূর্নিতা রায় সহ আরও অন্যান্য আবেদনকারীরা মামলা করেছেন। যাদের জায়গা উপরের দিকে রয়েছে বলে তাদের দাবি। কিন্তু তারা নিয়োগ পাননি।
ওয়েটিং লিস্টের থেকে ৯ জন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়েছিল কি না। মামলাকারীদের সাথে তাদের নম্বর সহ অন্যান্য সমস্ত কিছু তুলনা করে খতিয়ে দেখতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আগেই ছেড়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সিবিআই ও ইডি-র (CBI) জালে ধরা পড়েছেন নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অন্যতম আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।