নয়াদিল্লি: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এএনআই সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে জ্যাকলিনকে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সূত্রের খবর, এই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত নন তিনি৷ তাঁকে সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলাবাজি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা। সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে এক ব্যক্তি পরিচালিত তোলাবাজি চক্রের বিষয়েও জানতে চাওয়া হচ্ছে৷ যে সুকেশ চন্দ্রশেখরকে ঘুষের মামলায় নির্বাচম কমিশন অভিযুক্ত ঘোষণা করে৷ ইডি সূত্রে খবর, সেই সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মামলায় জ্যাকলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
Enforcement Directorate (ED) is questioning Bollywood actress Jacqueline Fernandez in Delhi for the last five hours, in a money laundering case.
(File photo) pic.twitter.com/ftUj2CkNcN
— ANI (@ANI) August 30, 2021
এই তোলাবাজি মামলায় গত ২৪ অগস্ট ইডি চেন্নাইয়ের সমু্দ্র তীরের এক বাংলো, ৮২.৫ লাখ টাকা, ১২টি বেশি বিলাশবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে৷ দিল্লি পুলিশের অর্থ দুর্নীতি দমন শাখার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে এই তদন্ত চলছে৷ এফআইআরে, অপরাধ মূলক পরিকল্পনা, প্রতারণা এবং প্রায় ২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়৷ ইডি সূত্রে খবর, সুকেশ চন্দ্রশেখর নেতৃত্বাধীন তোলাবাজি চক্রের স্বীকার জ্যাকলিন৷ সে বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷ তবে, ঠিক কী কারণে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সে বিষয়ে জ্যাকলিন জানান নি৷
আরও পড়ুন- মেডিক্যাল টেস্ট হয়ে গিয়েছে, এখন ম্যাঞ্চেস্টারে আসার অপেক্ষা রোনাল্ডোর
গত সপ্তাহে ইডি জানিয়েছিল, সুকেশ চন্দ্রশেখর এই তোলাবাজি মামলার মাস্টার মাইন্ড৷ যে ১৭ বছর বয়স থেকে অপরাধ জগতে পা রাখে৷ তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ সে বর্তমানে রোহিনী জেলে রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এআইএডিএমকের ‘আম্মা’ শাখার নেতা টিটিভি ধীনাকরণের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ সেই টাকা ‘দুই পাতা’ নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে বিরোধের জন্য নির্বাচনী প্যানেল কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি, অভিযুক্ত অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
সূত্রের খবর, সুকেশ AIADMK-র আম্মা উপদলকে ‘দুই পাতা’ প্রতীক রাখতে সাহায্য করার জন্য ৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ১.৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে অভিযোগ।