কলকাতা: ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও নাকতলায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই রয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় পার্থর নাকতলার বাড়িতে ঢোকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তার পর থেকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কলকাতা পুলিসের কর্মীরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে ইডি। টালিগঞ্জের ওই অভিজাত আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাটে রাতভর টাকা গোনা চলে। এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা গুনতে পেরেছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। সূত্রের খবর, শুক্রবার তল্লাশি চালানোর সময় ইডির তদন্তকারীদের হাতে পড়া একটি কাগজ থেকেই অর্পিতার নাম উঠে আসে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে এই টাকা কার? কোথা থেকে এল? সেটাই বড় প্রশ্ন।
শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এদিন প্রায় ১৪টি জায়গায় ৮০-৯০ জন ইডির আধিকারিকরা অভিযান চালান। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টচার্য এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকেও।
জুনের শেষ থেকেই এসএসসির দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের গতি বাড়িয়েছে ইডি। সম্প্রতি ৬০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। অভিযোগ, ওই সব শিক্ষকদের নিয়োগ করা হলেও তাঁদের কোনও ওএমআর শিট ছিল না। ইতিমধ্যেই লেনদেনের কিছু নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। বাগদা-রঞ্জন কাণ্ডেও একাধিক সূত্র মিলেছে। সেই তদন্তের অগ্রগতির জন্যই ওই শিক্ষকদের তলব করেছিল ইডি।