কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে (Lawyer Sanjay Basu) ইডির (ED) তলব সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তিনি হাইকোর্ট (High Court) থেকে রক্ষাকবচও পেয়েছিলেন। গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ওই রক্ষাকবকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় ইডি। আগামী ২৭ মার্চ পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে বলেই হাইকোর্ট মামলা পিছিয়ে দিয়েছে এমনটাই মনে করছে আইনজ্ঞ মহল। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি স্থগিত থাকছে।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে আগের অন্তর্বর্তী নির্দেশই বহাল রেখেছে। ওই বেঞ্চ আইনজীবী সঞ্জয়কে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই আবেদন শীর্ষ আদালত শুনানির জন্য গ্রহণও করেছে।
আরও পড়ুন: Higher Secondary Exam | অসুস্থ বাবাকে দেখতে গিয়ে দেরি, উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া হল না অভিজিতের
প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে গত ১ মার্চ সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। প্রায় ২৩ ঘণ্টা সেই তল্লাশি চলে। ইডি বেশ কিছু নথিপত্র তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করে। পরের দিন নবান্নে বসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবীর বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন তোলেনও। তিনি বলেন, সঞ্জয় সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল। ও আমারও আইনজীবী। ওর কাছে অনেক সরকারি কাগজপত্র থাকে। আমি ফোন করে জানতে চেয়েছিলাম, সঞ্জয়, কী হল? সঞ্জয় বলল, কিছু কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া আপনাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করল।
ওই তল্লাশির পরেই ইডি সঞ্জয়কে ফের তলব করেছিল। সেই তলবের বিরুদ্ধেই রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট ইডির তলবের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো যাবে না। বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না।